পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (partha chatterjee removed from cabinet) বিরুদ্ধে অবশেষে ব্যবস্থা নিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। পার্থর হাতে যে দপ্তরগুলি ছিল আপাতত সেগুলির দায়িত্ব সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নর তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটো ফ্ল্যাট থেকে হিসাব বহির্ভূত প্রায় ৫০ কোটি টাকা এবং কয়েক কোটি টাকার সোনার অলঙ্কার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির জেরায় অর্পিতা দাবি করেছেন ওই টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। পার্থ ও অর্পিতাকে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করে ইডি। তারপর থেকেই পার্থকে মন্ত্রীত্ব থেকে অপসারণ করার দাবিতে তৃণমূলেরই একটি অংশ সোচ্চার হয়েছিল। যদিও তৃণমূল হাইকমান্ড দলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ সম্পর্কে প্রথমে সহানুভূতিশীল ছিলেন। তাই পার্থকে গ্রেফতার করার পর প্রথমে তৃণমূলের অফিশিয়াল বিবৃতি ছিল বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে তবেই পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু বুধবার অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর হাইকমান্ডের উপর পার্থকে সরানোর চাপ আরও বাড়ে।
New Rule Of Election Commission: ১৭ বছর বয়েস হলেই এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করা যাবে
বৃহস্পতিবার সকালে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ টুইট করেন যে, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর মন্ত্রিত্ব থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া উচিত। তাঁকে বহিষ্কার করা উচিত। যদি আমার এই বিবৃতি দলের ভুল মনে হয়, তা হলে আমাকে সমস্ত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া সব অধিকার রয়েছে দলের।’ এই টুইটের কিছুক্ষণ পরেই তৃণমূলের তরফে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিষেকের নেতৃত্বে বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত হয়। সেই বৈঠকে কুণালকেও ডাকা হয়। তবে সেই বৈঠকের আগেই পার্থকে দলের মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় নবান্ন।