প্রায় দু বছর পর বীরভূমে ফিরেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বাড়ি ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক কোনও কথা এখনও পর্যন্ত শোনা যায়নি অনুব্রতর কণ্ঠে। তার আগেই বদলে গেল বীরভূম তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি।
এই অফিসে অনুব্রত আগমনের আগে সকাল থেকে নতুন করে সাজ শুরু হয়েছে। যেখানে জেলার বাকি নেতাদের হটিয়ে ফের তৃণমূল নেত্রীর পাশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেওয়াল থেকে সরানো হয়েছে জেলার কোর কমিটির সদস্যদের ছবিও।
তাঁর মুখেই একদিন পুলিশকে বোম মারার নিদান শোনা গিয়েছিল। বঙ্গ রাজনীতিতে ভোটের আগে চড়াম চড়াম শব্দের আমদানিও বীরভূম জেলা সভাপতির। কিন্তু মঙ্গলবার নীচুপট্টির বাড়িতে ফেরার পর সেই অনুব্রতর চোখেই জল দেখা গিয়েছে। ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের এক মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে।
রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কেন অনুব্রতর সঙ্গে দেখা করতে এসে ফিরে যেতে হয়েছিল চন্দ্রনাথ সিনহা এবং বিকাশ চৌধুরীকে। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কেন মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে থেকেও অনুব্রতর সঙ্গে দেখা না করে কলকাতায় ফিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক মহল মনে করে, গরুপাচার তদন্তে গ্রেফতারের সময় অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী অভিযোগ তুলেছিল কেন্দ্রীয় দুই এজেন্সি। এমনকী, জামিনের শর্তে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, গরুপাচার তদন্ত মামলায় কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারবেন না অনুব্রত। তিনি যে পোড় খাওয়া রাজনীতিক, তা নিজভূমে ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন কেষ্ট।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, তাই সুকৌশলেই চন্দ্রনাথ এবং বিকাশকে দূরে ঠেলেছেন। কারণ, গরুপাচার তদন্তকে দু জনকেই ডেকেছিল সিবিআই। তাই এই মামলায়, সদ্য জামিন পাওয়া অনুব্রত আদালতের নির্দেশকেই মান্যতা দিলেন বলে মনে করছেন জেলার নেতারা।