রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে হার বিজেপির। নন্দীগ্রামে (Nandigram) সমবায় ভোটে খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি (BJP)। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে এই ভোটে ৫২টি আসনের মধ্যে ৫১টিরই দখল নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বাকি একটিতে জয়ী হয়েছে বাম। এই জয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, এই ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বিজেপি। নন্দীগ্রামে বিজেপি মাত্র ৩-৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে। কাঁথি ৩ ব্লকের মারিশদায় সবক’টিতেই জয়ী তৃণমূল। উল্লেখ্য, যে বিরুলিয়া গত ভোটে শুভেন্দুকে বিরাট লিড দিয়েছিল সেখানেই এবার নিশ্চিহ্ন শুভেন্দু ম্যাজিক।
গত বিধানসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে জয়ধ্বজা ওড়ালেও নন্দীগ্রামে জয়ের মুখ দেখেনি তৃণমূল। তাই এবার সমবায় সমিতির ভোটে কী হবে, তা নিয়ে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের হানু ভুঁইয়া, শিবরামপুর ও ঘোলপুকুরিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোট আসন ৫২। মোট ভোটার ২ হাজার ৫৬৪ জন। ৫২ আসনের, ১টিতে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। রবিবার ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায়, বাকি ৫১টি আসনের মধ্যে ৫০টিই গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। একটি আসনে জয়ী হয়েছে বামেরা।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: পর্যবেক্ষক পার্থ চট্টোপাধ্যায় নেই, দুই মেদিনীপুরে সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক
অন্যদিকে, হুগলির সিঙ্গুরে বামেদের দখল থেকে একটি সমবায় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। সিঙ্গুর বিধানসভার চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের কাপাসাহাঁড়িয়া অঞ্চলে তৃষা কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির ৯টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের নয়জন প্রার্থীই এখানে জয়লাভ করেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৮ সালের পর থেকে এই সমবায় সমিতি বামেদের দখলে ছিল। প্রায় ৪৪ বছরের মাথায় সেই সমিতি পরিচালনার দায়িত্ব পেল তৃণমূল কংগ্রেস।