পর পর দুই দুর্নীতির অভিযোগ। মাত্র কয়েক দিনের ফারাকে দুই হেভিওয়েট নেতা গ্রেফতার। সামনে এল শহরের দুই প্রান্ত থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ছবি। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের উপর ক্রমাগত কেন্দ্রের দুই এজেন্সি ইডি ও সিবিআইয়ের চাপ। কিন্তু নির্বাচনের ফলে উড়ল সেই সবুজ আবীর। বুধবার আসানসোল ও বনগাঁর পুরভোটের উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহলের দাবি, পার্থ-কেষ্টর গ্রেফতারি স্থানীয় নির্বাচনে তৃণমূলের জনপ্রিয়তায় কোনও ভাগ বসাতে পারেনি। বরং আসানসোল এবং বনগাঁয় জমি হারিয়েছে বিজেপি। রেলের শহর আসানসোলে নতুন করে লাইনে এসেছেন বামেরা। উল্লেখযোগ্য ভাবে বিধান উপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে সিপিএম।
একদিকে যেমন তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণে ব্যস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি, অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করার চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এই পরিস্থিতিতেই ভোট হয়েছিল আসানসোল ও বনগাঁর একটি করে ওয়ার্ডে। গত রবিবার এই ভোট পর্বে বিস্তর অভিযোগও তুলেছিল বিরোধী বিজেপি। বিশেষ করে বনগাঁয় তৃণমূলের সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বুথে গিয়েছেন বিজেপি দুই বিধায়ক। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিজেপির অন্দরে যে কোন্দল বারবার সামনে আসছে। পুরসভার এই উপনির্বাচনেও তা স্পষ্ট হল।
তুলনায় অনেক ভাল বামেদের ফল। রাজ্য়ের প্রতিটি পুরসভায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বামেদের ভোট শতাংশ। আসানসোলও তাদের হতাশ করেনি। একদা বাম দুর্গ বলে পরিচিত আসানসোলে কার্যত হারানো মাটি ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেল।