আধুনিকতার দাপটে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে উঠছে স্থানীয় সংস্কৃতি। নতুন প্রজন্মের পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী টুসু পরব নিয়ে আগ্রহ কমেছে। মাটির টান কম, বরং মুঠোফোনের টান বেশি। স্থানীয় ঐতিহ্য নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় আর নেই তাদের।
আগে টুসু পরবকে কেন্দ্র করে মেতে উঠত পুরুলিয়ার গ্রামগঞ্জের। কিন্তু এখন আর আগের মতো প্রাণের সাড়া জাগে না৷ আগে এই সময় হাটগুলিতে জমে উঠত মহিলাদের ভিড়। চৌডল কেনার ব্যস্ততায় গমগম করত হাটগুলি। কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ের ছবিটা অনেকটাই আলাদা। হাতে গোনা কয়েকটি হাটে চোখে পড়ছে চৌডল।
Prithvi Shaw:দারুণ সাফল্যের পরেও টিম ইন্ডিয়া থেকে বাদ, নীরবতা ভাঙলেন পৃথ্বী শ
টুসু পরব পুরুলিয়ার স্থানীয় ঐতিহ্যের অংশ৷ অঘ্রাণের শেষ থেকে পৌষের শেষ, গোটা একটা মাস গ্রামে গ্রামে চলে টুসু গান৷ মকর সংক্রান্তির দিন টুসু ও চৌডল বিসর্জন দেওয়া হয় নদী বা বড় জলাশয়ে।
আগের তুলনায় ক্রমেই কমতে থাকা জৌলুস নিয়ে হতাশ টুসু কমিটিগুলি। হাটে চৌডল কিনতে আসা টুসু কমিটির এক সদস্যের আক্ষেপ, হাটে চৌডল বিক্রিতে ভাঁটা পড়ছে ক্রমেই। তবু দিনক্ষণ তারিখ মেনেই পরব চলছে, গত দুই বছর করোনার কারণে জাঁকজমক একেবারেই ছিল না, সে দিক থেকে এবার উদযাপনের মেজাজটুকু বরং বেশি। শেকড়ের টানটুকু বাঁচিয়ে রাখতে অনেকেই এখনও অপেক্ষা করে টুসুর সুরের, গানে গানে ফিরতে চায় হারানো দিনে।