২০১১ সালে রাজ্যে (West Bengal) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সরকারের স্বঘোষিত নীতি, বনধ (Bandh) বা ধর্মঘটকে (Strike) সমর্থন নয়। সেইমতো আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার বামেদের শ্রমিক সংগঠনের (Workers Union) ডাকা ধর্মঘটকে সমর্থন করছে না রাজ্য। বরং শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে সাফ জানানো হয়েছে, ওই দু দিন সরকারি সব প্রতিষ্ঠানে হাজিরা বাধ্যতামূলক। কোনও ছুটি গ্রাহ্য করা হবে না।
শনিবার নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন অর্থ সচিব মনোজ পন্থ। ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া সোম ও মঙ্গলবার সব সরকারি কর্মচারীকে দফতরে আসতে হবে। ধর্মঘটের দু দিন দফতরে না এলে কর্মজীবন থেকে ওই দু দিনের ছুটি কেটে নেওয়া হবে। কাটা হবে বেতনও। একমাত্র পরিবারের অসুস্থতা, পারিবারিক বিপর্যয়, মাতৃকালীন ছুটি এবং ২৫ মার্চের আগে যাঁদের ছুটি মঞ্জুর হয়েছে, তাঁরাই একমাত্র ছুটির আওতায় থাকবেন।
আরও পড়ুন : পাঁচ দিনের দার্জিলিং সফরে মুখ্যমন্ত্রী, পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত ?
কেন্দ্রের মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সোম এবং মঙ্গলবার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন এবং বেশ কিছু শিল্প ফেডারেশন। তার জেরে অবরোধ বা হাঙ্গামা করার চেষ্টা হলে পুলিশকে কঠোর হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ধর্মঘট ঠেকাতে বেশি করে রাস্তায় নামবে বেসরকারি বাস।
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বাকি দিনের মতো সোম ও মঙ্গলবার স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা। মেট্রো রেল সূত্রে খবর, সোমবার থেকে বাড়ছে মেট্রোর সমসীমা। সকাল ৬.৫০ মিনিট থেকে দমদম এবং কবি সুভাষের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। শেষ ট্রেন রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।