কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয় অঘটন। এবার বিশ্বের দু নম্বর বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফুটবল বিশ্বকে চমকে দিল উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। দুই সুপার সাবই শেষ করে দিলেন বেলজিয়ামকে। ম্য়াচের ৭৩ মিনিটে প্রথম গোল সাবিরির। আর ৯২ মিনিটে বেলজিয়ান কফিনে শেষ পেরেক ঠুকলেন জাকারিয়া। ফলে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে উঠে গেল করিম বেনশারিফার দেশ। ফলে বেলজিয়ামকে এখন শেষ ষোলোয় উঠতে শেষ ম্য়াচে তাদের ক্রোয়েশিয়াকে হারাতেই হবে। আর কাতারে মাটিতে সেই ম্য়াচ হতে চলেছে রাশিয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনেলের অ্য়াকশন রিপ্লে।
এই ম্য়াচে খেল দেখাল আল-রিহালি। আর তাতেই কাতার বিশ্বকাপে তৃতীয় অঘটন ঘটাল উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কো। এই বিশ্বকাপে মেসি-রোনাল্ডোরা যা করতে পারেননি, ম্য়াচের ৭৩ মিনিটে সেই কাজটাই করে দেখালেন মরক্কোর ফুটবলার সাবিরি। ডান-দিক থেকে তাঁর বাঁকানো ফ্রি-কিক বেলজিয়াম গোলকিপার কুর্তোয়াকে বোকা বানিয়ে জড়িয়ে গেল জালে। গোটা ম্য়াচে বেলজিয়ামকে ব্যস্ত রাখেন মরক্কো ফুটবলার জিয়াস। তাঁর অবদানেই দ্বিতীয় গোল জাকারিয়ার।
দুই বনাম বাইশ। এই পরিসংখ্য়ান মাথায় নিয়েই শুরু হয়েছিল বেলজিয়াম বনাম মরক্কো ম্য়াচ। ধারে-ভারে এগিয়ে বেলজিয়াম, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নব্বই মিনিট পর দেখা গেল তারকাখচিত রবার্টো মার্টিনেজের দল বড়ই ফিকে। আশি মিনিটে বদলি হিসাবে নেমে আটকেই গেলেন রমেল লুকাকু। গোটা ম্য়াচ দৌড়েও মরক্কোর ডিফেন্স ভাঙতে পারলেন হ্য়াজার্ড, ডি ব্রুয়েনারা। উল্টে ডিফেন্স সামলে আক্রমণে গিয়ে বেলজিয়ামকে পুরো ম্য়াচেই চাপে রাখল মরক্কো। প্রথমার্ধে তাদের গোল বাতিল হল ভারের চোখে।
১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় উঠেছিল মরক্কো। ৩৬ বছর পর ফের তাদের সামনে ফের নকআউটে ওঠার সুযোগ। গ্রুপের শেষ ম্য়াচে তারা খেলবে কানাডার সঙ্গে।