বিজেপি (Bjp) তাঁকে সেন্সর করেছে। কিন্তু তিনি অর্নগল। গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার (J P Nadda) চিঠিও তাঁর কাছে এসেছে। তার পরেও দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) একইরকম। যা বলার সেটা তো বলছেন, বরং যা বলার প্রয়োজন নেই, তা বলেও বিজেপির অন্দরে বারে বারে বিতর্ক উসকে দিচ্ছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। তবে, রবিবার যেন একটু অন্য দিলীপকে দেখা গেল।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা দিলীপ ঘোষের ইকো পার্কই (Eco Park) ভরসা। ছুটির সকালে চেনা ইকো পার্কেই যেন শৈশবে ফিরে যেতে চাইলেন ৫৭ বছরের পোড় খাওয়া এই বিজেপি সাংসদ। নিজের সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে ঘামে ভেজা সাদা গেঞ্জি, হাফ প্যান্ট আর পায়ে স্নিকার পরা দিলীপ হাতে আঁকশি নিয়ে খেজুর পারছেন। এটা কেমন হল ? তার বর্ণনায় তিনি লিখেছেন, ছোটবেলার কথা। এভাবেই একসময় খেজুর পাড়তেন। আধা কাঁচা খেজুরের উপর নুন জল ছিটিয়ে রাখতেন। সেই নুন জলেই পেকে যেত খেঁজুর। রবিবার নিউটাউনে এমন এক খেঁজুর গাছকে দেখে ছোটবেলার কথা তাঁর মনে পড়ল। ইচ্ছা হল খেঁজুর পাড়তে।
শরীরচর্চা একদিনও মিস করেন না। শত ব্যস্ততার মাঝেও রোজ ছুটে যান ইকোপার্কে হাঁটার এবং ব্যায়াম করার জন্য। এদিনও পার্কে গিয়েছিলেন। আর ফিরে গিয়েছিলেন তাঁর শৈশবের মেদিনীপুরে। রাজনৈতিক মহল দাবি করে, আধুনিক বঙ্গ এবং দেশীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দিলীপ ঘোষ যেন একটা চরিত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে তাঁর আক্রমণে তাঁর হাতিয়ার চাঁচাছোলা শব্দ। আবার বিজেপির অন্দরে বেচাল দেখলেও তিনি চুপ করে বসে থাকতে পারেন না।
তাই বেলাগাম দিলীপকে বেড়ি পড়াতে সেন্সর করেছে বিজেপি। তাতে অবশ্য তাঁকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিলীপ ঘোষের মতো ব্যক্তি কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে দাবিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কারণ, ঠান্ডা ঘর নয়, সত্যিই ফুটিফাটা মাঠ থেকেই নিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন দিলীপ ঘোষ। অনেক বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তাই, মাঝে মধ্যেই শিশুসুলভও হয়ে পড়েন। তাই ঝাড়গ্রামে গিয়ে অনায়াসে পেরে ফেলতে পারেন বাতাবি লেবু। আবার বকখালি গিয়ে ব্যাট হাতে হয়ে যেতে পারেন ক্রিকেটার দিলীপ ঘোষ।