'কেঁদো না। মনে করবে চোখের জল জীবনের অনেক বড়। তাই, চোখের জল এভাবে ফেলতে নেই। হাতে হাত ছুঁয়ে বলছিলেন ওই লোকটা। এরপর আমার নাম জিগেস করলেন। আমার নামের বানান জিগেস করলেন। তারপর ওই হাসি। যা আমাকে এখনও মোহিত করে রেখেছে। অনেক ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু আমি এখনও বিভোর হয়ে আছি সেই মুহূর্তে। প্রথমে ধন্যবাদ জানালেন। তারপর বললেন আমি তোমায় নিয়ে যাব। তুমি ভীষণ ভাল।'
ঠিক যেন স্বপ্নে দেখা রাজপুত্তরের সঙ্গে সাক্ষাৎ। বাস্তবে এটাই হয়েছিল লাবণ্যর সঙ্গে। লাবণ্য় পিলানিয়া। ছোট থেকেই বিশেষভাবে সক্ষম লাবণ্য। হুইল চেয়ার যেন তাঁর চেনা পৃথিবী। মঙ্গলবার বিমানে উঠবে বলে লাবণ্য অপেক্ষা করছিল রাঁচির বীরসা-মুন্ডা বিমান বন্দরে। সেখান দিয়েই যাচ্ছিলেন এক ভদ্রলোক। তাঁর চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু লাবণ্য়কে দেখেই ছুটে আসেন তার কাছে। বসেন, দেখেন এবং লাবণ্য়র মন জিতে নিয়ে চেন্নাই উড়ে যান। তিনি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর ভুবন ভোলানো হাসিতে মোহিত লাবণ্যও।
আসলে এটাই মাহি ম্য়াজিক। তিনি মানুষের মন জয় করতে ভালবাসেন। নিজের সোশাল মিডিয়ায় লাবণ্য় যে ছবি পোস্ট করেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, খোশ মেজাজে ধোনি। গল্প করছেন, অটোগ্রাফ দিচ্ছেন। এই তো কয়েকদিন আগের কথা। একবার নেতৃত্ব ছেড়ে ফের নিজেই চেন্নাইয়ের নেতা হওয়ার দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন। লিও মেসির কাছে যেমন বার্সিলোনা। তেমনই ধোনির কাছে চেন্নাই সুপার কিংস। মেসি তবুও বার্সা ছেড়ে। কিন্তু মাহি চেন্নাই ছাড়েননি। এভাবেই তিনি চেন্নাইকে জয় করেছেন।
আর কিছুক্ষণের জন্য হলেও তাঁর ভুবন ভোলা হাসিতে মজলেন ছোট্ট লাবণ্য়। রাঁচি বিমানবন্দরে তখন অন্য মেজাজ।