তাঁরা দেখতে পান না, ঠিকই। তবে, শুনতে পান। একটি ইন্দ্রিয়ের শক্তি দুর্বল বলেই বাকি ইন্দ্রিয়গুলি পুরোপুরি সজাগ থাকে তাঁদের। নাগপুর কেবলমাত্র অন্ধদের জন্য দেশের প্রথম রেডিয়ো স্টেশন তৈরির আগে এই কথাগুলি মাথায় রেখেছিলেন নাগপুরের ব্লাইন্ড রিলিফ অ্যাসোসিয়েশন এবং সমদৃষ্টি ক্ষমতা আবাম অনুসন্ধান মণ্ডলের সদস্যরা। বস্তুত, এই দুই সংগঠনের দৌলতেই এই অসামান্য প্রচেষ্টাটি প্রাণ পেল দেশে প্রথমবারের জন্য। এই স্টেশনের নাম রাখা হয়েছে- 'রেডিয়ো অকশ'।
অন্ধদের পড়াশোনার সুবিধা এবং তাঁদের জন্য তৈরি অডিয়োবুকের কার্যকারিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। কোভিড অতিমারির কারণে রেডিয়ো ব্যবস্থার প্রয়োজনীতা বৃদ্ধি পেয়েছিল বহুগুণ। 'রেডিয়ো অকশ' সম্পূর্ণভাবে ইন্টারনেট নির্ভর রেডিয়ো চ্যানেল।
এই স্টেশনের রেডিয়ো জকিরা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষিত। মূলত, মহিলারাই রয়েছেন এই স্টেশনের জকি'র পদে। বহু অন্ধকারের মাঝে এই দেশে এই সময়ে 'অন্ধজনে দেহ আলো'র এই উদ্যোগ মনে রাখার মতোই।