গত প্রজন্মের তুলনায় নেশা করার ধুম অনেকটাই কম। মদ্যপানের অভ্যাসও অনেকটাই কমছে নতুন প্রজন্মের। সমাজমাধ্যমে সাম্প্রতিক সমীক্ষা কিন্তু সেই কথাই বলছে। আদৌ কি তা ঠিক! সত্যিই কি জেন জি মদ্যপান থেকে নিজেদের দূরে রাখছে!
প্রাচীন কাল নিয়ে গর্বের রেওয়াজ চিরাচরিত সময় থেকে চলে আসছে। বাবাদের যে কথা বলেছেন দাদুরা, তাই আবার পরবর্তী প্রজন্মকেও শুনতে হয়। তা গান হোক, বা সিনেমা। বা অন্য কোনও অভ্যাস। গত প্রজন্ম সব সময়ই ভাবে, নতুন প্রজন্ম মানেই তরুণ তুর্কী। জীবন নিয়ে নানাবিধ গবেষণা করতে গিয়ে মদ্যপানের মতো নেশা করা খুবই সাধারণ। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একটি সমীক্ষা বলছে ঠিক উল্টোটাই। বেরেনবার্গের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পার ক্যাপিটায় মিলেনিয়াল প্রজন্মের তুলনায় জেন জি প্রজন্মের মধ্যে মদ্যপানের ঝোঁক অনেক কম। নেশা করার হার কমেছে ২০ শতাংশ।
মিশিগান ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা বলছে, গত ২ দশকে কলেজ পড়ুয়া প্রাপ্ত বয়স্কদের ২০-২৮ শতাংশ মদ্যপান করেন না।
চিকিৎসকরা বলছেন, এর পিছনে অন্যতম কারণ সচেতনতা বৃদ্ধি। নিয়মিত মদ্যপানের ফলে যে শারীরিক ক্ষতি হয়, সেই সম্পর্কে সচেতন জেন জি। নতুন প্রজন্ম ভীষণভাবে ফিটনেস সচেতন। জীবনযাত্রার জন্য কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, তা নিয়েও ওয়াকিবহাল. অ্যালকোহল কতটা ক্ষতিকর, তাও ভাল করে বোঝে এই প্রজন্ম। সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাওয়ারনেসও তাঁদের চোখে পড়ে। তাই এই নেশা থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারছেন তাঁরা।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, আগের প্রজন্মের থেকে জেন জি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। ৫০ শতাংশ তরুণ-তরুণী নিয়মিত শরীর চর্চা করেন। আগের প্রজন্মে সেই সংখ্যাটা ৪৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, জাঙ্ক ফুড থেকেও নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখতে পারেন নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। সব কিছুই নিজেকে ফিট রাখার জন্য। ২০২১ সালে একটি খাদ্য সংস্থা টেকনমিক সমীক্ষা করে জানিয়েছে, নতুন প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের ৫৮ শতাংশ রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া পছন্দ করেন। গত প্রজন্মে এই হার ছিল ৬৫ শতাংশ।