চুমু খেতে গিয়ে কেউ চলে যাচ্ছেন হাসপাতালে, কারও শ্বাস আটকে গিয়ে থরহরিকম্প দশা, কেউ মারা যাচ্ছেন অক্সিজেনের অভাবে! এছাড়াও রয়েছে আরও নানাবিধ কারণ। যার ফলেই, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের তালিকা থেকে 'দীর্ঘতম চুম্বনের বিশ্বরেকর্ড'-কে বাদ দিয়ে দিল।
কিন্তু, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল গিনেস বুক? তার আগে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন নিয়মের ফাঁদে পড়ে আটকে গেল গিনেস বুকের এই বিশেষ রেকর্ডটি
১) এই প্রতিযোগিতার নিয়ম 'গোটা সময় ধরেই চুম্বন প্রক্রিয়াটি চলতে থাকবে। দুটি ঠোঁট একে অপরের সঙ্গে লেগে থাকবে পুরো সময় জুড়েই'।
২) চুম্বনরত দুই প্রতিযোগীকে পুরোটা সময়ই জেগে থাকতে হবে।
৩) এই পুরোটা সময় ধরেই দাঁড়িয়ে থেকে তাঁদের একে অপরকে চুম্বন করে যেতে হবে।
৪) টানা চুমু খেয়ে যেতে হবে। কোনও বিরতি নেওয়া চলবে না।
৫) কোনওরকম স্যানিটারি প্যাড পরে থাকা যাবে না। চুম্বনরত দুই প্রতিযোগী বাথরুম ব্যবহার করতে পারবেন তবে, তা করতে হবে, একে অপরকে চুমু খেয়ে যেতে যেতেই।
যেহেতু, মাঝে কোনও বিরতি থাকে না, তাই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর চুমু খাওয়ার রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রতিযোগিরা।
১৯৯৯ সালে ইজরায়েলের এক দম্পতি টানা ৩০ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে একে অপরকে চুমু খাওয়ার পর তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছিল যে, তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।
২০০৪ সালে ৩১ ঘণ্টা ১৮ মিনিট ধরে একে অপরকে চুমু খেয়ে বিশ্বরেকর্ডের পর সংশ্লিষ্ট দম্পতিকে অক্সিজেন দিয়ে বাঁচাতে হয়েছিল।
২০১১ সালে মাত্র ৩০ মিনিট চুমু খেয়েই এক মহিলা প্রতিযোগী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
২০১৩ সালে তাইল্যান্ডের এক দম্পতি ৫৮ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট ধরে একে অপরকে টানা চুম্বন করে বিশ্বরেকর্ড গড়েন।