১৭ মার্চ দোলযাত্রা (Holi 2022)। চারপাশে বসন্তের রং লেগে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। 'দোল' এবং 'হোলি' আসে পরপর। আর, তারও আগে আসে 'ন্যাড়াপোড়া' (holika dahan 2022)। যা বাঙালিদের কাছে 'ন্যাড়াপোড়া, অবাঙালিদের কাছে সেটাই আবার 'হোলিকা দহন' (holika dahan 2022)। যা থেকে এসেছে আবার এই 'হোলি' শব্দটি।
এই 'হোলিকা দহন'-এর (holika dahan 2022) নপথ্যের কাহিনিটি একবার জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: 'ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় এসে গেল দোল পূর্ণিমা, জেনে নিন দিন ক্ষণ তারিখ
হোলিকা (holika dahan 2022) ছিলেন দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর বোন। অমরত্ব লাভের পর হিরণ্যকশিপু নিজেকে 'একচ্ছত্র সম্রাট' বলে ভাবতে শুরু করেন এবং একনায়কের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই ক্রমে অনমনীয় হয়ে উঠতে থাকেন।
এ দিকে নারদের প্রশ্রয়ে থেকে হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ বিষ্ণুভক্ত হয়ে উঠেছিলেন। হিরণ্যকশিপুর কানে এই খবর যাওয়া মাত্র ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি এবং নানা ভাবে নিজের পুত্রকেই হত্যা করতে উদ্যোগী হন। তবু, বেঁচে থেকে গিয়েছিলেন প্রহ্লাদ!
অবশেষে ডাক পড়ে হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকার (Holika), আগুন যাকে স্পর্শ করতে পারে না৷ নির্ধারিত দিনে (holika dahan 2022) প্রহ্লাদকে কোলে নিয়ে লেলিহান আগুনে প্রবেশ করেছিলেন হোলিকা৷
পূরাণ অনুযায়ী, হোলিকা ব্রহ্মার কাছ থেকে এমন একটি শাল পেয়েছিলেন, যা তাঁকে সবসময় রক্ষা করবে বলে জানিয়েছিলেন ব্রহ্মা। হোলিকা বলেছিলেন, শাল থাকায় তাঁর কিছু হবে না ,কিন্তু প্রহ্লাদ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। কিন্তু, প্রহ্লাদকে নিয়ে হোলিকা আগুনে প্রবেশ করার সময়েই গায়ের শালটি তাঁর কাছ থেকে প্রহ্লাদের গায়ে গিয়ে পড়ে। বিষ্ণুর আশীর্বাদে আগুন থেকে একেবারে অক্ষত হয়ে বেরিয়ে আসেন প্রহ্লাদ (Holika dahan 2022)। তাঁর গায়ে একফোঁটা আগুনের আঁচও লাগেনি। আর, তাঁর বদলে, জীবন্ত দগ্ধ (holika dahan 2022) হয়ে গিয়েছিলেন, তাঁকে হত্যা করতে যাওয়া হোলিকা (Holi 2022) নিজেই৷
পর দিন ফাল্গুন পূর্ণিমা৷ হোলিকার মৃত্যুতে খুশি মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছিল রঙিন খুশির উৎসব ‘হোলি’ (Holi 2022)৷ আগুনের গ্রাসে হোলিকার ওই মৃত্যুর ঘটনাটিকেই পালন করা হয় ‘হোলিকা দহন’ (Holika Dahan 2022) হিসেবে।