কেউ বলে ‘বসন্ত পঞ্চমী’ (Basanta Panchami)। কারও কাছে আবার ‘বাঙালির প্রেমদিবস’ (Saraswati Puja)। ‘জয় জয় দেবী, চরাচর সারে’-র আবহে যে মিশে যায় হলুদ পাঞ্জাবী আর বাসন্তী রঙের শাড়ি!
পঞ্জিকামতে, বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতী পূজোর (Saraswati Puja) মুহূর্ত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ৭ টা বেজে ৭ মিনিট থেকে রাত ১২ টা বেজে ৩৫ পর্যন্ত থাকবে। কিন্তু, পুরাণ ও কথকতায় কীভাবে মিশে আছেন তিনি? দেখে নেওয়া যাক সরস্বতী (Goddess Saraswati) সম্বন্ধে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য।
১) চারটি বেদের জননী বলা হয় সরস্বতীকে।
২) সূর্যের প্রেমে মুগ্ধ হয়েছিলেন গায়ত্রী। সূর্যবন্দনার মন্ত্রটিতেও রয়েছে তাঁরই নাম। পুরাণমতে (According to mythology), এই গায়ত্রী ছিলেন সরস্বতীরই আর এক রূপ।
৩) তাঁর বাগ্মিতার ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ হয়ে সরস্বতীকে 'বাগদেবী' (Baagdevi) নাম দিয়েছিলেন ব্রহ্মা।
৪) পুরাণ অনুযায়ী (According to mythology), ব্রহ্মার চারটি মাথার নেপথ্যেও রয়েছেন সরস্বতী। বলা হয়, সরস্বতীর রূপে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন ব্রহ্মা যে, তিনি চেয়েছিলেন সরস্বতী যে দিকেই থাকুন, তিনি যেন তাঁকে দেখতে পান।
৫) বিভিন্ন রূপ ধারণের ক্ষমতার জন্য সরস্বতীর (Saraswati) আর এক নাম 'শতরূপা'।
৬) ভারতের পূর্বপ্রান্তে সরস্বতীকে (Goddess Saraswati) শিব ও দুর্গার সন্তান হিসেবে গণ্য করা হয়।
৭) বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী, সরস্বতী ছিলেন মঞ্জুশ্রীর এক সঙ্গিনী।
৮) যে পদ্মটির ওপর বসেন সরস্বতী (Saraswati), সেটিকে জ্ঞানের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
৯) তাঁর হাতে থাকা বীণাটি কেবলমাত্র সুরেরই নয়, তা বুদ্ধি এবং মেধারও প্রতীক।
১০) আজ থেকে ৪ হাজার বছর আগের ভারতবর্ষে বয়ে যেত সরস্বতী নদী। এই নদীটিকে বলা হয় দেবী সরস্বতীর ধরিত্রী-রূপ। কথিত আছে, ক্ষত্রিয় বিনাশের পর পরশুরাম এই নদীতে স্নান করে 'শুদ্ধ' হয়েছিলেন।