জীবন বড়ই বিচিত্র! কখন কাকে কার মনে ধরে, কোন আলাপ প্রেমে গড়ায়, কিচ্ছু বলা যায় না। আবার তেমনই অনিশ্চিত বিয়ে। আবার কোন বিয়ে টিকবে, কোন সম্পর্কে অল্প দূরেই রাস্তা আলাদা হবে, তা-ও আঁচ করা যায় না আগে থেকে। যে কোনও বিচ্ছেদেই লেগে থাকে করুণ সুর, কিন্তু বিচ্ছেদের পেছনে কারণ যে সব একরকম হয়, এমনটা নয় মোটেই।
আচ্ছা, একটা বিয়ে সবচেয়ে কম, কতটা সময়ের জন্য টিকতে পারে? আন্দাজ করুন, দু-এক বছর? না, তারও কম, কয়েক মাস? দিন, নাহ! ঘণ্টাও না। বিচ্ছেদের ইতিহাসে সেই নজির গড়েছে ৩ মিনিটের বিয়ে। কুয়েতের এক দম্পতির বিয়ে ৩ মিনিটের জন্য ক্ষণস্থায়ী ছিল। পাদ্রি সবে যুগলকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। পাদ্রির দিক থেকে ফিরতেই নব বধু পড়ে গেলেন, তা দেখে স্বামী বলে উঠলেন 'স্টুপিড'। ব্যাস...বিয়ের মৃত্যু হল সেখানেই।
ব্রিটেনে ২০০৪ সালে একটি বিয়ে টিকেছিল আরেকটু বেশি, ৯০ মিনিট মতো। স্ত্রীয়ের অভিযোগ ছিল, স্বামী কনেপক্ষকে বিয়েতে অপমান করেছেন।
বিচ্ছেদের ইতিহাসে বাঁধিয়ে রাখার মতো কিছু কারণও আছে বটে। রইল তেমনই উদ্ভট কিছু ঘটনার উল্লেখ।
কর্ণাটকের ঘটনা। স্বামী স্ত্রীয়ের কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়ে আদালতে গিয়েছিলেন। কারণ? স্ত্রী ম্যাগি ছাড়া কিছু রান্না করতে জানত না। সকালের জলখাবারে, দুপুরে, রাতে সবসময় স্ত্রী স্বামীর জন্য ২ মিনিটে রেঁধে আনতেন ম্যাগি।
গতবছর উত্তরপ্রদেশের এক স্বামী স্বামী বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন, এই অভিযোগে, যে তাঁর স্ত্রী রোজ স্নান করেন না, স্ত্রীকে স্নান করতে বললেই রোজ তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়ে যায়।
স্বামীর 'অত্যধিক ভালোবাসা'য় তিতিবিরক্ত হয়ে বিয়ের ১৮ মাসের মাথায় ডিভোর্স চেয়েছেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা। স্ত্রীয়ের অভিযোগ ছিল তাঁর স্বামী কখনও তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করেন না। এত ভালোবাসায় তাঁর দমবন্ধ দশা৷ তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান।
ভোপালোর নবদম্পতির মধ্যে ঝামেলা হয় ইউপিএসসি নিয়ে, স্ত্রীয়ের অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী দিনরাত ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। তাঁর দিকে একফোঁটা মনোযোগ দেন না।
কথায় আছে, বিয়ের লাড্ডু যে খেয়েছে সে পস্তিয়েছে তো বটেই, যে খায়নি, সেও পস্তিয়েছে। তা উত্তরপ্রদেশের মীরাটে লাড্ডুর জন্য ১০ বছরের সংসার ভাঙতে চেয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী তাঁকে লাড্ডু ছাড়া কিচ্ছু খেতে দেন না।