প্রায় বোরোলিনের মতোই। বলছি মিমের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মিম, বঙ্গ জীবনের অঙ্গ। নানা সমসাময়িক বিষয় উঠে আসে মিমের বিষয় হিসেবে। এখন যেহেতু ফুটবল বিশ্বকাপের মরশুম, খুব স্বাভাবিক মিমেও থাকবে তারই দাপট। সেমি ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে মেসির দল। কী হতে চলেছে ১৮ তারিখ? সম্ভাব্য সব পরিস্থিতি নিয়েই এখন মিমের বন্যা।
ফুটবল প্রেমে বাংলা বরাবর লাতিন আমেরিকা ঘেষা। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স-পর্তুগালের সমর্থক থাকলেও ব্রাজিল, কিম্বা আর্জেন্টিনা, এর মধ্যেই বাংলার দলবাজি বেশি। সেই নিয়েও বাজারে মিমে ছয়লাপ। পাশাপাশি বসে মেসি-নেইমার। বলছেন এবার বিশ্বকাপ পেলে বাংলাকেই দিয়ে দেবেন। সহমত লিও। ওদের নিয়ে এমন ঝগড়া আর কে-ই বা করবে?
বিশ্বকাপ ফাইনালের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে মেসিরা। নেইমারের দল বিদায় নিয়েছেন আগেই। এরকম পরিস্থিতিতে নায়ক বাছতে সময় লাগে না। প্রতিদ্বন্দ্বী দলে বড় নাম কিলিয়ান এমব্যাপে। মরক্কোর বিরুদ্ধে সেমি ফাইনাল জিতলেই তাঁর মুখোমুখি হবেন লিও। অতএব এমব্যাপে এখন 'দুষ্টু লোক'। মেসিকে চাঁদের পাহাড়ের শংকরের সঙ্গে তুলনা করে মিমের বন্যা। এমব্যাপে হয়েছেন বুনিপ।
সেমি ফাইনালে মেসির সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত করেছেন আলভারেজ। এ তো বিভূতিভূষণের উপন্যাস থেকেই উঠে আসা চরিত্র যেন। বাংলা বুক বাঁধছে, আলভারেজ সঙ্গে থাকলে শঙ্করের চাঁদের পাহাড় ছোয়া তো হবেই শেষ পর্যন্ত।
সব মিলিয়ে ছবিতে-কবিতায়-মিমে-গানে-গল্পে বাংলা এখন মজে বিশ্বকাপে। লিও মেসি-বা কিলিয়ানের চেয়ে সোনালি ওই কাপের ভাগীদার বাংলাও কিছু কম নয়।