এমন ভারতীয় খুব কমই আছেন, যাঁরা আমূল-কন্যা ও তাকে নিয়ে বিজ্ঞাপন দেখেননি বা শোনেননি। সেই আমূল-কন্যার স্রষ্টা সিলভেস্টার ডাকুনহা প্রয়াত হলেন। সেই ১৯৬৬ সালে শুরু হয়েছিল যাত্রাটা। সিলভেস্টর ডাকুনহা তাঁর আর্ট ডিরেক্টর ইউস্তাসে ফার্নান্দেজের সঙ্গে যৌথভাবে পেন্সিল স্কেচে ফুটিয়ে তুলেছিলেন এই আমূল গার্লকে। যা, থেমে গেল বুধবার। আমূলের সেই ‘আটারলি বাটারলি ডেলিশিয়াস’ এ দেশের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে চলা বিজ্ঞাপন। সেই ষাটের দশক থেকে এখনও পর্যন্ত তার জনপ্রিয়তা একইরকম অমলিন।
আমূল ব্র্যান্ডের জন্য একটি আইকনিক ম্যাসকটের প্রয়োজন ছিল। সেই দায়িত্ব গিয়ে পড়ে সিলভেস্টর ডাকুনহার সংস্থার ডাকুনহা কমিউনিকেশনের উপর। তারপরই রাস্তার ধারের বিলবোর্ড থেকে শুরু করে খবরের কাগজের বিজ্ঞাপন, পরবর্তীকালে টিভি এবং আরও পরে সোশ্যাল মিডিয়া- সবেতেই আমূল গার্লের একের পর এক সুপারহিট বিজ্ঞাপন জয়প্রিয়।
আমূলের কর্ণধার ডক্টর ভার্গিস কুরিয়ানের সহায়তায় শুরু হয়েছিল পথচলা। সাদার ওপর লাল ববি প্রিন্টের হাতকাটা ফ্রক, মাথার গাঢ় নীল চুলে ঝুঁটি করে বাঁধা ম্যাচিং রিবন আর পায়ে জুতো-মোজা আমূল গার্ল থেকে গেল, যেমন থেকে যায় সব সৃষ্টিই। সাদা পাতা আর রঙের কালির বাক্স ফেলে রেখে কেবল চলে যায় স্রষ্টা।