লকডাউনে গত দু'বছরে অনেক 'আসল'-এর বিকল্প নিয়ে বেঁচে থাকতে শিখিয়েছে জীবন। কিন্তু, আজকের দিনটা ব্যতিক্রম নিঃসন্দেহে। কারণ, এ শুধু জীবন নয়, জামাই বাবা জীবন! আজ জামাই ষষ্ঠী! শুরুতে নাকি দিনটা ছিল সন্তানের মঙ্গল কামনায় ষষ্ঠী। তা বাঙালির জামাই প্রীতি সর্বজনবিদিত। তাই ষষ্ঠী হয়েছে জামাই ষষ্ঠী। সব কাজ ভুলে আম, লিচু নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কবজি ডুবিয়ে খাওয়ার দিন। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক বছরে সে সব স্বাদ খানিকটা ফিকে হয়েছে বইকি। এবার করোনার দাপট অনেক কম, তাই স্বাভাবিক ভাবেই জামাই বাবাজীবনদের দাপট বেশ।
প্রবাসে থাকা মেয়ে জামাইকে তো কোন ছাড়, পাশের পাড়ায় থাকা জামাইদেরও বাধ্যতামুলক জুম কলেই সারতে হয়েছে উদযাপন। মুখে মাস্ক আর হাতে স্যানিটাইজার ঘষে ঘষে কি জামাই আদর হয়? তাই এ বছর সকলেরই সুদে আসলে উশুল করার দিন। আর এই পার্বন আবার বড়ই আজব। এমন ষষ্ঠী, যেখানে সপ্তমী- টু- দশমী নো সেলিব্রেশন। ষষ্ঠীটাই ডি-ডে। আদরযত্ন -খাতির সবটুকু চেটেপুটে উপভোগ করার দিন। একবিংশ শতকে জামাই ষষ্ঠী পালন করা, ভাল না খারাপ? এমন তর্ক থাকবেই। তবে উদযাপনের ছুঁতো বড় কম আসে ব্যস্ত জীবনে। তাই, খাওয়া-দাওয়া আড্ডা-গান-গল্পে যেন ভাঁটা না পড়ে!