মাসির বাড়ি থেকে এবার জগন্নাথদেবের বাড়ি ফেরার পালা । পুরীতে (Puri) ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে । আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্রীধামে ফিরে আসবেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা । সেই উপলক্ষে মাসির বাড়িতে নানা অনুষ্ঠান চলছে । ৮ দিন বলরাম, এবং সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি কাটানোর পর উল্টো রথে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এই উল্টোরথের মাহাত্ম্য নিয়ে বেশ কিছু কাহিনীও জড়িয়ে রয়েছে।
দশমী তিথিতে ৯ দিনের মাথায় গুন্ডিচা মন্দির ছাড়েন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। শোনা যায়, এক রাজার আমলে তৈরি হয়েছিল এই তিন মূর্তি। কিন্তু কেন বিগ্রহদের মূর্তি অসম্পূর্ন? জানা যাক সেই রাজকাহিনী। কথিত রয়েছে, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন চালু করেছিলেন রথযাত্রা। জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার মাহাত্ম্য প্রচারের ক্ষেত্রেও এই রাজার ভূমিকা রয়েছে।
রাজকাহিনী:
পুরাণ মতে, সত্যযুগে রাজা ইন্দ্রদ্যুন্মের স্ত্রী গুন্ডিচা কিছুদিন নিজের কাছে কৃষ্ণকে রাখার আশীর্বাদ পেয়েছিলেন। আবার ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ মতে, রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত। তিনি স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন, সমুদ্রে ভেসে আসা কাঠের টুকরো দিয়ে গড়তে হবে মূর্তি। আর সেই মূর্তি গড়ার কাজ পেয়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। কিন্তু শর্ত ছিল, মূর্তি গড়ার সময়ে কেউ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কিন্তু আওয়াজ না পেয়ে স্বয়ং রাজাই মূর্তি গড়ার ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। ভিতরে ঢুকে তিনি দেখেন উধাও বিশ্বকর্মা। সম্পূর্ণ মূর্তি গড়ার আগেই বিশ্বকর্মাকে চলে যেতে হয়, পরে ওই মূর্তি দিয়েই পুজো শুরু করেন রাজা। এই কারণেই জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি অসম্পূর্ণ।