হ্যাঁ, বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠককে এভাবেই ব্যাখা করছে কূটনৈতিক মহল। এই বৈঠক দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল তামাম দুনিয়া। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই বৈঠক থেকে নির্যাস, ভারতের হাতে ফিরছে মুম্বই হামলার অন্যতম মূলচক্রী তাহাউর হুসেন রানা। এছাড়া, গ্যাস থেকে লাল কফি -- এবার সবেতেই একসঙ্গে কাজ করবে ভারত ও আমেরিকা।
ভোটে জয়ের পর আমেরিকাকে ফের মহান করার স্লোগান তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই মাগা স্লোগানে এবারের সফরে মিগা শব্দটি জুড়ে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন প্রেসিডেন্টকে পাশে নিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদী জানিয়েছেন, বিকশিত ভারত তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে দিল্লি। আমেরিকার প্রেক্ষিতে সেটার অনুবাদ করলে দাঁড়ায় মিগা। যখন আমেরিকা এবং ভারত একসঙ্গে কাজ করবে, তখন মেগা আর মিগা মিলিয়ে হবে উন্নতির ‘মেগা পার্টনারশিপ’।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে দু-দেশের মধ্যে কয়েক বছরে আটকে থাকা অস্ত্র বাজার ফের খুলতে চলেছে ট্রাম্প-মোদীর বৈঠকে। দিল্লি ও ওয়াশিংটন যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতকে অস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে আমেরিকা। সেইসঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক এফ-35 যুদ্ধ বিমান। যা চিনের দিকেই ইঙ্গিত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সীমান্তে উত্তেজনা বন্ধে আমেরিকা ভূমিকা নিতে চায় বলেই জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে, এই ব্যাপারে ধীরে চলো দিল্লি।
দিন কয়েক আগেই মার্কিন আদালতের রায় ছিল, মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী রানাকে ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই রায়কে এবার মেনে নিল ট্রাম্প সরকার। সেই সিদ্ধান্তের কথাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কারণ, সন্ত্রাস বন্ধে বদ্ধ পরিকর ভারত ও আমেরিকা।