রবিবার আস্থা ভোটে তাঁর ভাগ্যনির্ধারণের আগে শনিবার ফের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ টিভিতে সম্প্রচারিত ভাষণে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ফের চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan)। শনিবার দেশের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে ইমরান খান (Imran Khan) বলেন, ''একটা যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধ হল আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার। আমাদের সামনে এখন স্রেফ দু'টো পথ খোলা আছে। হয় আমরা ধ্বংসের পথ অবলম্বন করতে পারি নয়তো আমরা সম্মান রক্ষার স্বার্থে লড়াই চালিয়ে যেতে পারি। আমার মনে হয় দ্বিতীয় রাস্তাটিই গর্বের। এই রাস্তাই আমাদের বিপ্লব এনে দেবে।''
দেশের রাজনীতিতে ফের তৈরি হয়েছে ফাটল। তা নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল পাকিস্তান (Pakistan)। অবস্থা এমনই, ৩ এপ্রিল অ্যাসেম্বলিতে হওয়া আস্থা ভোটেও বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) পরাজিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ৩৪২ সদস্যের অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক ফিগার ১৭২।
অর্থাৎ, হিসেবটা খুব স্পষ্ট। টিকে থাকতে গেলে ইমরানের দরকার ন্যূনতম ১৭২'টি ভোট। অপরদিকে, তাঁকে সরানোর জন্য তাঁর বিরোধীদেরও প্রয়োজন সমসংখ্যক ভোট। তবে, অনাস্থা ভোটের আগে দেশে নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন ইমরান। বর্তমান অ্যাসেম্বলির মেয়াদ ২০২৩ সালের অগস্ট পর্যন্ত।
এর আগে বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী (Fawad Chaudhury)। শুক্রবার তিনি দাবি করেছিলেন, রবিবারের অনাস্থা প্রস্তাবের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) হত্যার ছক কষা হচ্ছে বলে তাঁকে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা।
ফাওয়াদ চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্র 'ডন' জানিয়েছে, এই রিপোর্টের পর ইমরান খানের (Imran Khan) নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার।