ইউক্রেনে (Ukraine) রাশিয়া (Russia) তার সামরিক লক্ষ্য পূরণ করবেই। যাই ঘটুক না কেন এর অন্যথা হবে না। ফরাসি (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে (Emmanuel Macron) একথা জানিয়ে দিলেন রুশ রাষ্ট্রওপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার লক্ষ্য হল ইউক্রেনের নিরস্ত্রীকরণ এবং নিরপেক্ষতা। যত দ্রুত তারা এটি মেনে ততই তাদের পক্ষে ভাল। দেরি হলেই রাশিয়ার চাহিদার তালিকা বাড়তে থাকবে।
ক্রেমলিনের দাবি, তাদের এই ‘বিশেষ অভিযান’ ইউক্রেন দখলের উদ্দেশ্যে নয়। প্রতিবেশীর সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করার জন্য, যা রাশিয়ার পক্ষে বিপজ্জনক।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ অভিযান’ ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী’ চলছে। তারা বন্দরশহর খারসন দখল করেছে। খারকিভ এবং রাজধানী কিয়েভের অনেকখানি তাদের নিয়ন্ত্রণে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিয়েভ রাশিয়ার শেষ লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যপ ওদেসা, মারিউপোল তাদের দখলে চলে এসেছে।
পুতিনের বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ পারমাণবিক যুদ্ধ নিয়ে দ্বিতীয়বার সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমী শক্তিগুলির মাথায় পারমাণবিক যুদ্ধের ভাবনা রয়েছে৷ তবে রাশিয়া প্ররোচনায় পা দেবে না।
সম্প্রতি লাভরভ জানিয়েছিলেন, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হলে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহৃত হবে এবং তার ফল হবে ভয়াবহ। উল্লেখ্য, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পরই পুতিন রুশ পারমাণবিক অস্ত্রের মন্ত্রককে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন।