গত সাত মাস ধরে নয়াদিল্লির আশ্রয়ে আছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে বাংলাদেশে ফিরতে চান সেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ থেকে হাসিনার বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
আওয়ামী লিগের সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য রাখার পর জুলাই আন্দোলনের সময় আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের পরিবার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশকর্মীর বিধবা স্ত্রী হাসিনাকে জানান, তাঁর স্বামী কিছুই পরিবারের জন্য রেখে যাননি। ঘরে সন্তান আছে। হাসিনার সাহায্য় প্রার্থনা করেন ওই মহিলা। তার জবাবে হাসিনা বলেন, অবশ্যই সাহায্য় করবেন তিনি। হাসিনা আশ্বাস দেন, তিনি অবশ্যই সাহায্য় করবেন। তিনি দেশে ফিরবেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের পরিবার সদস্যরা বিচার পাচ্ছেন না। তাঁদের উদ্দেশে হাসিনা জানান, "ওই পরিবারগুলিকে দায়মুক্তি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই হত্য়ার দায়মুক্তি হয় না। হত্য়ার বিচার হয় না। আমার বাবা-মা, তিন ভাইকে যখন হত্যা করা হয়েছিল, তখনও দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাদের বিচার করেছি।"
হাসিনা সরকারের কাজ নিয়ে নিন্দা করেছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি জানান, "ক্ষমতা টিকিটে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংস পদক্ষেপ করেছিল।" বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন রাষ্ট্রপুঞ্জ। ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ফেরাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন পাঁচ দফা সুপারিশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য় তাৎপর্যপূর্ণ।