তাঁকে বলা হয় 'মিসাইল ম্যান'। কিন্তু একই সঙ্গে আব্দু কালাম তো ছিলেন 'পিপলস' প্রেসিডেন্ট'ও। প্রকৃত অর্থেই তিনি হয়ে উঠতে পেরেছিলেন জনগণের রাষ্ট্রপতি৷ ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর যিনি কথা দিয়েছিলেন ৫ লক্ষ মানুষের সঙ্গে মুখোমুখি কথা বলবেন। জানবেন তাঁদের সুখ, দুঃখ, স্বপ্ন এবং হতাশার কথা। সেই কথা রেখেছিলেন কালাম৷ তাই কেবল 'মিসাইল ম্যানে'র পরিচয়ে আটকে থাকেননি তিনি। হয়ে উঠেছিলেন লক্ষ লক্ষ ভারতবাসীর আইকন। তাই গভীর শ্রদ্ধায় তাঁর প্রয়াণ দিবস স্মরণ করছে গোটা,দেশ।
এ পি জো আব্দুল কালাম ছিলেন এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতবাসীকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন। ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তাঁর জন্ম। এক অতি সাধারণ পরিবারের সন্তান কালাম শৈশব, কৈশোরের কঠিন দিনগুলিকে পেরিয়ে ভর্তি হলেন মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে। ১৯৫৮ সালে যোগ দিলেন DRDO-র চাকরিতে। পদ সিনিয়র সায়েন্টিফিক অ্যাসিসটেন্ট। তারপর থেকে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতির জীবনের গল্পটা কেবলই উত্থানের৷ অথচ তাঁর পা শক্ত করে রাখা ছিল মাটিতে।
বেশ কিছু বছর ইসরোতে কাটিয়ে ১৯৮২ সালে কালাম ফের ফিরে এলেন DRDO-তে, ডিরেক্টরের পদে। মিসাইল গবেষণায় আত্মনিয়োগ করা এই বিজ্ঞানীর ডাকনাম হয়ে গেল 'মিসাইল ম্যান'। ১৯৯২ সালে পেলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টার পদ। এরপর ১৯৯৮ সালের পোখরানের সফল উৎক্ষেপণ তাঁকে কার্যত জাতীয় নায়কে পরিণত করল।
১৯৯০ সালে পদ্মভূষণ এবং ১৯৯৭ সালে ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন কালাম৷ ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই যখন তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করছেন, তখন শোকে বিহ্বল গোটা দেশ।
বড় বিজ্ঞানী অনেকেই হন, কিন্তু মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে পারেন ক'জন? এখানেই অনন্য এ পি জে আব্দুল কালাম।