বাঙালির উৎসবের মরশুম শেষ হয়ে আসছে। চারপাশে বিষণ্ণতা। এর মাঝেই শেষ গানের রেশ নিয়ে চলে এল জগদ্ধাত্রী পুজো।
প্রচলিত বিশ্বাস, যুদ্ধের সময় মহিষাসুর নানা রূপ ধরে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিল দেবী দুর্গাকে। মহিষাসুর হাতির রূপ ধরলে তাকে বাগে আনতে চতুর্ভুজা অপরূপা মূর্তি ধারণ করেন। চক্র দিয়ে ছিন্ন করেন হাতির শুঁড়। দেবীর ওই রূপই জগদ্ধাত্রী ।
Chhat Puja 2021: ইচ্ছে মত মন্ত্র পড়া যায় ছট পুজোয়, জেনে নিন এ বছর পুজোর সময়
অন্য একটি মতও আছে, মহিষাসুর নিধনের পর দেবমহলে অহমিকা দূর করতেই আবির্ভাব জগদ্ধাত্রীর। দেবতাদের আস্ফালন দেখে দেবী একটা ঘাসের টুকরো ছুড়ে দেন দেবতাদের দিকে। ইন্দ্র বজ্র দিয়ে নষ্ট করতে পারেননি ওই টুকরো, বায়ু ওড়াতে পারেনি। অগ্নি পারেননি পোড়াতে। বরুণদেবও ভাসিয়ে দিতে পারলেন না। দেবতাদের এই অবস্থা দেখে শেষে তাঁদের সামনে আসেন দেবী জগদ্ধাত্রী।
কথিত আছে, বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র।
রাজস্ব বাকি পড়ায় রাজাকে সেই সময়কার বাংলার নবাব আলিবর্দি খাঁ মুর্শিদাবাদে বন্দি করেন। কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে কৃষ্ণচন্দ্র নৌকা করে নদিয়ায় ফিরছিলেন, এমন সময় ঢাকের বাজনা শুনে জানতে পারলেন সে দিন বিজয়া দশমী। পুজো করতে না পারায় অবসন্ন রাজার স্বপ্নে এলেন দেবী। স্বপ্নাদেশ মেনে দুর্গাপুজোর একমাস পর কার্তিকের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রী পুজো চালু হল সেই থেকে।