গোটা পাড়ায় এখন আঠার গন্ধ। সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকেই মোমের সাথে পাইন গাছের রস মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে আঠা। আর সেই আঠা দিয়ে থার্মোকলের ওপর 'বুলেন' চুমকি, পাথর বসিয়ে তৈরি হচ্ছে মা দুর্গার সাজসজ্জা। তাই শিউলি-কাশের মতো এই আঠার গন্ধও শান্তিপুরের সাহাপুরের সব্বাইকে জানান দিয়ে যায় পুজো এসে গেছে।
১২৯৯ বঙ্গাব্দে শুরু হয়েছিল এই বারোয়ারি পুজো। অর্থাৎ এবার ১২৯ বছর। স্থানীয় যুবকেরা নাকি সে সময় গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে গিয়ে নদিতে সুবিশাল এক পুজোর কাঠের পাট ভেসে আসতে দেখে। সেই থেকেই শুরু দুর্গা পুজো।
সাহা পাড়ার বুড়ো বারয়ারির পুজোর একটা বিশেষত্ব, এখানে মা দুর্গার বাহন সিংহ নয়, ঘোটক। পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। পাঠা বলির প্রচলন নেই, আখ কুমড়ো বলি হয়। সঙ্গে অড়হর ডালের খিচুড়ি ভোগ।
প্রতিমার পেছনের চালচিত্রে প্রতিবার নতুন নকশা হয়। পঞ্চমীর রাতে সাজানো হয় মাকে। ষষ্ঠীর ভোরে মায়ের নতুন রূপ দেখতে ভিড় পড়ে যায় সাহা পাড়ায়।