সেদিনের সেই জমিদারিও নেই, নেই অর্থের জোরও। ক্রমেই জৌলুস হারাচ্ছে নদিয়ার শান্তিপুরের বাগআঁচড়ার গাঙ্গুলি বাড়ির দুর্গা পুজো। তবু মা তো বছরে একবারই আসেন, তাই নমো নমো করে পুজোটা হচ্ছে এখনও। এখন অবশ্য কেবল একটা পরিবারের নয়, ওটা এখন গ্রামের সকলেরই পুজো।
সপ্তদশ শতকের শেষের দিকে গাঙ্গুলি বাড়িতে শুরু হয়েছিল পুজো। জমিদার বাড়ি পুজোর বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই সেজে উঠত, গ্রামের নিম্নবিত্ত প্রজাদের পুজোর পোশাক বিতরণ হতো এই বাড়ি থেকেই। আর পুজোর চারদিন তো গ্রামের বাকি পরিবারে অরন্ধন। খাওয়া দাওয়া সব এখানেই। আর এখন ক্রমেই তার রঙ হারাচ্ছে, জৌলুস হারাচ্ছে গাঙ্গুলি বাড়ির পুজো। পরিবারের নবম প্রজন্ম জীবন গঙ্গোপাধ্যায়। ৭৬ বছরের জীবন বাবু জানালেন, পরিবারের সকলেই কর্ম সূত্রে বাইরে বাইরেই থাকেন।
দুই ভাইয়ের ছেলে অবশ্য এখনও সাহায্য করেন। তাঁদের পরের প্রজন্মেরও এই ঐতিহ্যের পুজো চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহ।
জাঁকজমক না হয় নাই থাকল, গ্রামের মানুষের এই পুজো নিয়ে আবেগ আছে এখনও। এও কি কম পাওয়া?