বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election) পরই 'এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি নিয়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। পুরভোটের টিকিট দেওয়ার আগে তাই প্রশ্ন ছিল নব নির্বাচিত বিধায়ক (MLA) ও সাংসদরা (MP) কলকাতা পুরভোটে টিকিট পাবেন কিনা। কিন্তু প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর পুরভোটে দাঁড়ান তৃণমূল সাংসদ মালা রায় (Mala Roy)। ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), পরেশ পাল (Paresh Paul) সহ মোট ছজন বিধায়ক দাঁড়ান কলকাতা পুরভোটে। বিতর্ক কাটিয়ে মঙ্গলবার পুরভোটে সব তৃণমূল প্রার্থীরাই জিতলেন।
কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী হলেও নিজের বিধানসভা কেন্দ্র দাঁড়াননি কোনও বিধায়ক। কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ দাঁড়িয়েছিলেন ভবানীপুরের ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার দাঁড়ান টালিগঞ্জের ৯৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। দেবাশিস কুমার রাসবিহারীর বিধায়ক দাঁড়ান ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে। বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল দাঁড়ান মানিকতলার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে। অতীন ঘোষ তাঁর পুরনো ওয়ার্ড ১১ নম্বরে দাঁড়ান। কাশীপুর-বেলগাছিয়া বিধানসভা আসনে জয়ী হন তিনি। বেহালা পূর্বে বিধানসভা আসনে জয় পেলেও বেহালা পশ্চিমের ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়ান শোভন জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায় (Ratna Chatterjee)।
আরও পড়ুন: 'দিদির বাড়িই মন্দির', কালীঘাটে এসে বললেন ফিরহাদ; বিপুল জয় মালা, দেবাশীষের
তৃণমূল সাংসদ ও পুরভোটের হেভিওয়েট প্রার্থী মালা রায় ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়েছিলেন। দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র ও রাসবিহারী বিধানসভা কেন্দ্রে পড়ে এই ওয়ার্ড। একমাত্র নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পুরভোটের প্রার্থী হন তিনি। মনে করা হচ্ছে, এবার কলকাতা পুরসভায় জয়ের পর বড় দায়িত্ব পেতে পারেন মালা রায়।