রাত পোহালেই মহালয়া। পিতৃ পক্ষের অবসান, দেবী পক্ষের শুরু। দুই পক্ষের সন্ধিক্ষণের অলৌকিক ভোরই মহালয়ার ভোর। ঊষা লগ্নে বাংলার প্রতিটা ঘরে বেজে উঠবে বিরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। শারদোৎসবের ঠিক সপ্তাহ খানেক আগে আসে বলে আমরা অনেকেই ভাবি এ উদযাপনের দিন। তবে সনাতন ধর্মে এ চোদ্দ পুরুষের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের দিন। ধর্মের ব্যাখ্যা বলে, মহালয়ার এই পুণ্য তিথিতে মর্ত্যলোকে আসেন আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মারা। তাঁদের স্মরণ করেই উৎসবের সূচনা।
বাঙালির কাছে মহালয়া যত না ধর্মীয় আচার, তার চেয়ে অনেক বেশি অতীতের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের রাস্তা। অতীতকে নিয়ে, পরম্পরা মেনে উৎসবে উদযাপনে শামিল হওয়ার দিন।
প্রচলিত রীতি মেনে এ দিনেই হয় দেবী দুর্গার চক্ষুদান।