চলতি মরশুম শুরুর আগে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে কেউ চেন্নাই সুপার কিংসকে ভাবেননি। ২০২০ সালের আইপিএলে অত্যন্ত খারাপ পারফরম্যান্স করেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। চেন্নাইয়ের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হয়তো ভাল ছিল না, কিন্তু ১১ বার প্লে অফ, ৯ বার ফাইনাল খেলে ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া সিএসকে নিঃসন্দেহে আইপিএলের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সিএসকের বাজিমাতের কারণগুলি-
ওপেনারস
ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ফাফ ডুপ্লেসির দুরন্ত ওপেনিং জুটি৷ এই দু'জনের জন্যই চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডারকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি। গায়কোয়াড় ৬৩৫ এবং ডু'প্লেসি ৬৩৩ রান করেছেন এই টুর্নামেন্টে। এর আগে মাত্র তিনবার একই টিমের দু'জন ব্যাটার ৬০০+ রান করেছেন আইপিএলে।
তিন নম্বরে মঈন আলি
২০২০ সালে সিএসকের একজন পারফেক্ট নাম্বার থ্রি ছিল না। এই বছর সেই অভাব মিটিয়ে দিয়েছিলেন মঈন আলি। ৭ কোটি টাকা দিয়ে তাঁকে কিনেছিল সিএসকে। আলি ৩৫৭ রান করেছেন, তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
লর্ড শার্দুল ঠাকুর
দুবাইতে ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে একার হাতে টুর্নামেন্টের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন শার্দুল ঠাকুর। বিপক্ষের বড় পার্টনারশিপ ভাঙা অথবা জরুরি সময়ে ধাক্কা দেওয়ার জন্য ধোনি যতবার এই তরুণ তারকার হাতে বল তুলে দিয়েছেন, কোনো সময়ই তিনি হতাশ করেননি।
জাদেজার অল রাউন্ড পারফরম্যান্স
সিএসকের সাফল্যের পিছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজার জ্বলে ওঠা। ২২৭ রান করার পাশাপাশি তিনি তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। দুরন্ত ফিল্ডিংও করেছে জাদেজা। অজস্র রান বাঁচানোর পাশাপাশি ধরেছেন ১৩টি ক্যাচ।
মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব
২০২০ সালে সপ্তম স্থানে শেষ করার পর ধোনি বলেছিলেন, তাঁরা আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন। ৪০ বছর বয়সী তারকা কথা রেখেছেন। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু ধুরন্ধর ক্রিকেট মস্তিষ্ক নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই। টি-২০ বিশ্বকাপের ডাগ আউটে এমন ক্রিকেট মস্তিষ্ককে হয়তো মিস করবে বিসিসিআই।