সিনেমা আসলে জীবনের কথাই বলে। বাংলার জীবনের গল্পে দুর্গা পুজো শুধুই বছরের চারটে দিনের একটা ঘটনা তো নয়, বরং কয়েকশ বছরের সংস্কৃতিতে মিশে যাওয়া দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। তাই বাংলা ছবিতে নানা সময়ে উঠে এসেছে দুর্গা পুজো। কখনো নেপথ্যে, কখনও মুল চরিত্র হয়ে।
আজ বলা যাক সেরকমই কিছু আইকনিক বাংলা ছবির কথা।
হীরের আংটি
ঋতুপর্ন ঘোষের প্রথম ছবি। ১৯৯২ এ। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের রহস্য উপন্যাস আশ্রিত ছবি। সিনেমার নেপথ্যে ছিল দুর্গা পুজো। মায়ের বোধনের আগে ঘরে ফেরা, পুজোর আনন্দ, বিসর্জনের বিষাদ, সব ধরা ছিল ছবিতে।
উৎসব
ঋতুপর্ন ঘোষেরই আরও একটি ছবি। পুজোকে ঘিরে পরিবারের সবার এক হওয়া, হাসি ঠাট্টা, গল্প, অভিমান, জীবনের শাশ্বত অনুভূতিকে ফিরে দেখা উৎসবের কটা দিন। ছোট ছোট ব্যথা, ছোট্ট ঘটনা, প্রেম অপ্রেমের গল্প। পুজো এখানে একটা সুতোর মতো। সবার জীবনগুলো একটু বেঁধে বেঁধে রাখে।
জয়বাবা ফেলুনাথ
বেনারসের দুর্গাপুজো, আর ফেলুদার রহস্যের জট ছাড়ানো। প্রবীণ শিল্পীর একমনে মায়ের মূর্তি রং করা, ক্যাপ্টেন স্পার্ক, আফ্রিকার রাজার মুখের ভেতর লুকিয়ে রাখা গণেশের মূর্তি। নতুন করে বলে দিতে হয়, এ কোন ছবি? সত্যজিৎ রায়ের মাস্টারপিস জয়বাবা ফেলুনাথ।
দেবী
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত আরও একটি অন্য ধারার ছবি। দয়াময়ীর বিয়ে হয় উমাপ্রসাদের সঙ্গে। দয়াময়ীর শ্বশুর কালীকিঙ্কর চৌধুরি মনে করেন, দয়াময়ীর মধ্যেই দেবীকে দেখতে পান। বিশ্বাস, অবিশ্বাসের দোলাচলে অন্য পথে বয়ে চলে সাধারণ এক মেয়ের জীবন।
ঊমা
সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি সিনেমা। কঠিন অসুখে আক্রান্ত ঊমার। দিন ফুরিয়ে আসছে ছোট্ট মেয়েটার। বিদেশ থেকে বাবার হাত ধরে ঊমা এল কলকাতায়। পুজো দেখবে বলে। ভরা বর্ষায় অকাল বোধন দেখল কলকাতা। ঊমার সরল চোখদুটো দু চোখ ভরে প্রথম এবং শেষ বারের জন্য জানল ঘরে ফিরতে কেমন লাগে।