মাত্র তিন বছরে শুরু হয়েছিল তাঁর তবলা সফর। থামল তিয়াত্তরে এসে। আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকোর হাসপাতালে প্রয়াত জাকির হুসেন। তাঁর অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। নানা গুঞ্জনের পর ভারতীয় সময় ভোরবেলা উস্তাদের মৃত্যু সংবাদের কথা সংবাদ সংস্থা PTI-এর কাছে স্বীকার করেছে তাঁর পরিবার।
বাবা উস্তাদ আল্লারাখার হাত ধরেই হাতেখড়ি। সাত বছরের জাকির প্রথম একক অনুষ্ঠানে মাতিয়ে দিয়েছিল। এরপর শুধুই এগিয়ে চলার কাহিনি। বিশ্বজনীন তবলা বাদকের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ তবলাবাদক উস্তাদ জাকির হুসেনের মৃত্যুতে গভীর ভাবে মর্মাহত। দেশের এবং তাঁর লক্ষ লক্ষ ভক্তদের জন্য চরম ক্ষতি।
জাকিরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। শোক বলিউডে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্লাডপ্রেসারের সমস্যায় ভুগছিলেন। হার্টের সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শুরু হয় প্রার্থনা। কিন্তু সে সব এখন অতীত।
১৯৫১ সালে জন্ম মুম্বইয়ে। ভারত সরকারের পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তিনি। ২০০৪ সালে তাঁর হাত ধরেই ভারতে এসেছিল প্রথম গ্র্যামি পুরস্কার। ২০২৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল দিস মোমেন্ট। কখন পন্ডিত রবিশঙ্কর, কখনও উদাস্ত আমজাদ আলি, আবার জর্জ হ্যারিসনের মতো কিংবদন্তিদের সঙ্গত করতেন জাকির। তাঁর মৃত্যুতে থেমে গেল ভারতীয় তবলার বোল।