লাগাতার হাতির তাণ্ডব যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না সোনামুখীর জঙ্গল লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকার ধান চাষীদের। বিঘার পর বিঘা ধান জমি পায়ের তলায় পিষে নষ্ট করেছে বুনো হাতির দলটি। ব্যাপক আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে ধান চাষীদের । অনেকেই মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন কিন্তু হাতির তাণ্ডবে পাকা ধানে যেভাবে মই পরল তাতে মহাজনের সেই ঋণ কিভাবে শোধ করবেন তাই ভেবে রাতের ঘুম ছুটেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের । তাদের দাবি স্থানীয় বন দফতর হাতিগুলোকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদাসীন। সে কারণে তাদেরকে আরো বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ।
ফসল নষ্ট করছে হাতির পাল, বাঁকুড়ায় বন দফতরের অফিস ঘেরাও গ্রামবাসীদের
সন্ধ্যা হলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের । অন্ধকার গাঢ় হলেই এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের । যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সোনামুখী জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের । অনেকেই টিউশনি পড়তে সোনামুখী শহরে আসতে হয় কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে তাদেরকে আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় ।
এ বিষয়ে সোনামুখী রেঞ্জ অফিসার দয়াল চক্রবর্তীর দাবি বন দফতরের কোনো গাফিলতি নেই, যে সমস্ত কৃষকদের হাতির তাণ্ডবে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।