এই শব্দটার সঙ্গে আর অপরিচত নয় বাঙালি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের সময়ে এই শব্দের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল কলকাতা। দক্ষিণ ও উত্তর শহরতলীর দুই বিলাস বহুল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল যকের ধন।
এই ঘটনার পর থেকে শহর ও জেলার আনাচ-কানাচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল অনেক টাকার পাহাড়। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে গোয়াল ঘরের আড়ালে যা চলছিল, তা দেখে চোখ ছানাবড়া জেলা পুলিশের। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মেমারি থানা অভিযান চালায় স্থানীয় চকদিঘির এক গৃহস্থের বাড়িতে।
এরপর পুলিশ জানিয়েছে, ওই গোয়াল ঘরেই ছিল গাঁজার আড়ত। অনেক দিন ধরেই তাঁরা তক্কে তক্কে ছিলেন। এবার তা হাতে নাথে ধরা পড়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪৭ কেজি গাঁজা। সঙ্গে ৪১ লাখ টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছে সঙ্গীতা সাহানি নামের এক মহিলাকে।
একা কী সঙ্গীতা, নাকি এই ঘটনার পিছনে রয়েছে কোনও চক্র ? তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এই ব্যবসা নাকি সঙ্গীতাদের পারিবারিক। এমনটাই দাবি পুলিশের। গাঁজা বিক্রির অভিযোগে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঙ্গীতার মা-কেও।
ভারতে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় এর আগে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের বিড। বছর দুয়েক আগে মহারাষ্ট্রের এই জেলা থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রায় ৭০ কোটি টাকার হেরোইন। বাংলার মানচিত্রে মেমারি নতুন মাত্রা দিল। গৃহস্থের গোয়ালে এবার টাকার পাহাড়। যা এলাকাবাসীকেও অবাক করেছে।