দেশের ব্যাংকিং সেক্টরে(Banking Sector) আরও একটি বড় কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে চলে এল। ২৮টি ব্যাংকের সঙ্গে প্রতারণা মামলায় নাম জড়াল এবিজি গ্রুপের(ABG Shipyard)। সিবিআইয়ের(CBI) তরফে শনিবার এবিজি শিপইয়ার্ড(ABG Shipyard) এবং সংস্থার ডিরেক্টর ঋষি আগরওয়াল, সন্থানাম মুথুস্বামী, অশ্বিনী কুমারের বিরুদ্ধে প্রায় ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(SBI), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা(Bank of Baroda), ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(BOI), আইডিবিআই ব্যাঙ্ক(IDBI Bank), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের(PNB) সঙ্গেই মূলত এই প্রতারণা করা হয়েছে। এর বাইরে আইসিআইসিআই(ICICI) ব্যাঙ্ক এবং এলআইসিআই(LICI) সংস্থাও প্রতারণার শিকার হয়েছে। এই বিরাট আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনাটি গত ২০২০ সালের অগাস্টে প্রকাশ্যে আসে।ওই বছর ২৫ আগস্ট ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের একজন ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সিবিআই-এর কাছে।
আর পড়ুন- Rahul Bajaj: চিরঘুমে 'হামরা বাজাজে'র কারিগর, রাহুল বাজাজের মৃত্যু শোক মোদী-মমতার
মূলত যে সংস্থাগুলি ওই ৮টি ব্যাংক এবং এলআইসিআইকে(LICI) ফাঁকি দিয়েছে, তারা একই গ্রুপ অর্থাৎ এবিজি শিপইয়ার্ড(ABG Shipyard) এবং এবিজি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের(ABG International PVT LTD) অন্তর্গত। গুজরাটের সুরাটের এই সংস্থাটি জাহাজ নির্মাণ এবং মেরামতের পাশাপাশি অন্যান্য কাজও করে থাকে। সিবিআইয়ের(CBI) অভিযোগ, সমস্ত নিয়মকানুন উপেক্ষা করে এই কোম্পানিটি বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে এই নজিরবিহীন প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে।
এই জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থার প্রতারণার ফলে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক(SBI) ২ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এলআইসিআইয়ের(LICI) ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা। এই বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে মূলত ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে।