ডলারের নিরিখে টাকার রেকর্ড পতন হয়েছে। তার উপরে তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতেও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের চাহিদা (Demand of Fuel) ৬.১ শতাংশ বেড়েছে। জ্বালানি তেলের বিক্রি এবছর জুলাই মাসে বেড়েছে ১৯.৮ শতাংশ। সোমবার কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রকের অধীনস্থ পেট্রোলিয়াম প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যানালিসিস সেলের পরিসংখ্যান (PPAC) থেকে জানানো হয়েছে এই তথ্য ।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতের জ্বালানি তেলের চাহিদার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। অতিমারির ধাক্কা সামলে ভারতীয় অর্থনীতি ধীরে ধীরে গতি ফিরে পাচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিষেবা ও চাকরি ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। আর এ সবেরই প্রতিফলন ঘটছে তেলের চাহিদার উপর।
তবে গত বছরের তুলনায় জুলাইয়ে জ্বালানি তেলের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত কম। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুন মাসে দেশে তেলের ব্যবহার ছিল ১৮.৬৮ মিলিয়ন টন। জুলাইয়ে তা ৫.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়ে হয়েছে ১৭.৬২ মিলিয়ন টন।
অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, একমাসের ব্যবধানে তেলের ব্যবহার কমার অন্যতম কারণ অতিরিক্ত দাম। যা চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলছে। এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, "ডলারের নিরিখে টাকার পতন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়তে থাকলে তা চাহিদার উপরে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলবে।"
আরও পড়ুন: জিম করতে গিয়ে বুকে ব্যথা, আচমকা মৃত্যু বাঁশদ্রোণীর তরুণী ঋত্বিকা দাসের
তবে কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এবার গ্যাসোলিন, পেট্রলের বিক্রি ৬.৮ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে তার পরিমাণ ২.৮১ মিলিয়ন টন। গ্যাসোলিন ও তেলের বিক্র কমার একাধিক কারণও আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বৃষ্টির কারণে নির্মাণ কাজ ব্যাহত হচ্ছে। চড়া মুদ্রাস্ফীতিও পণ্যের উপর প্রভাব ফেলেছে। সামগ্রিক কারণে গ্যাসোলিন ও পেট্রলের বিক্রি কমছে।