গ্যাস, জ্বালানির পথেই কি এবার রান্নার তেল (edible oil) ? সরকারি সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গৃহস্থের রান্নাঘরে শুধু ছেঁকাই নয়, লাগামছাড়াও হতে পারে রান্নার তেল। কারণ, এই মাস থেকে ভারতকে আর পাম তেল দেবে না ইন্দোনেশিয়া (Indonesia)। তাদের দেশেই পামতেল উৎপাদন কম হচ্ছে। তাই জার্কাতা ঠিক করেছে এই মাসের ২৮ তারিখ থেকে আর দিল্লিকে পামতেল (Pam oil) দিয়ে তারা সাহায্য করতে পারবে না। অতএব, ভারতে পামতেল আসা বন্ধ হলে কী হবে, তা ভেবে এখন থেকেই মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। ইতিমধ্যেই তারা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে। ইন্দোনেনিয়াকে আরও একবার অনুরোধ করার জন্য কেন্দ্রের কাছে তদ্বির করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাতে অবশ্য চিঁড়ে ভিজছে না বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
মার্চের শেষেই আন্তর্জাতিক আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের (Crisil) সমীক্ষায় দাবি করা হয়, রাশিয়া (Russia)-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের জেরে ভারতে অশোধিত সূর্যমুখী তেলের (sunflower oil) আমদানি চলতি অর্থবর্ষে ২৫ শতাংশ কমতে পারে। প্রয়োজনের এই তেলের ৯০ শতাংশই ইউক্রেন এবং রাশিয়া থেকে কেনে ভারত। জোগানের ঘাটতি তার দামকে আরও ঠেলে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হয়।
দেশের বণিক সংগঠনের মতে, এই আশঙ্কাই এবার সত্যি হতে চলেছে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এবার সরাসরি পড়তে চলেছে রান্নার তেলের উপর। কারণ, ভারতে প্রতি মাসে ১৮ লাখ টন ভোজ্য তেল লাগে। এর মধ্যে ছয় থেকে সাত লাখ টন পাম তেল আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। মালয়েশিয়া, তাইল্যান্ড এবং পাপুয়া নিউ গিনি থেকে বাকিটা আসে। ফলে ইন্দোনেশিয়া থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে ভারতে।
ভারতে ভোজ্য তেলের মধ্যে সব থেকে বেশি ব্যবহৃত পাম তেলের দাম অবশ্য আগে থেকে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। এর সঙ্গে সূর্যমুখী তেলের জোগান কমে যাওয়ায় ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা তৈরি হয়। এখন পাম তেলের অভাব সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেবে।