কাজের চাপে কেরলের যুবতির মৃত্যু নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা পুরোপুরিভাবে অস্বীকার করা হল ওই সংস্থার তরফে। আর্ন্সট অ্যান্ড ইয়ংয়ের চেয়ারম্যান রাজীব মেমানি দাবি করেছেন, কাজের চাপে মৃত্যু হয়নি তাঁর। যদিও মৃত্যুর ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি।
পুনের EY-এ কাজ করতেন অ্য়ানা সেবাস্টিয়ান পেরায়িল। গত ২০ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরপর কন্যার মৃত্যুর জন্য ওই সংস্থাকেই দায়ী করেন মৃত যুবতির বাবা। তাঁর অভিযোগ, অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন অ্য়ানা। এবং সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
তিনি জানিয়েছেন, কাজের চাপ এতটাই বেশি ছিল যে নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়া, ঘুম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। মাসখানেক আগে অ্য়ানাকে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, শরীরে কোনও সমস্যা নেই। তবে যথেষ্ট পরিমাণে খাওয়া ও ঘুম দরকার।
এবিষয়ে রাজীব মেমানি জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্থায় কঠোর পরিশ্রম করতে হয় ঠিকই কিন্তু কাজের চাপেই যে অ্য়ানার মৃত্যু হয়েছে তা সঠিক নয়। কারণ দেশজুড়ে তাঁদের সংস্থায় কর্মী সংখ্যা প্রায় ১ লাখ কর্মী রয়েছেন। এবং তাঁরা ওই সংস্থায় কাজ করে সন্তুষ্ট।
মাত্র চার মাস আগে আর্ন্সট অ্যান্ড ইয়ং ইন্ডিয়ার পুনের অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ২৬ বছরের তরুণী। অতিরিক্ত কাজের চাপই মেয়ের মৃত্যুর কারণ, বলছেন তরুণীর মা। মেয়ের শেষকৃত্যে অফিসের কেউ আসেনি, চেয়ারম্যানকে লেখা চিঠিতে সে কথাও উল্লেখ করেছেন মৃতার মা। তাঁর আর্জি, মেয়ের মৃত্যু অন্তত সবার চোখ খুলে দিক, কর্ম সংস্কৃতি পাল্টাক। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কাজ করানো বন্ধ হোক।
সংস্থার তরফ থেকে কর্মীর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে তাঁরা কর্ম সংস্কৃতি উন্নত করার দিকে মন দেবেন।