দৈনিক বিমান চলাচলের ওপর রাশ টানছে ভিস্তারা। সংস্থার পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করে বলা হয়, বিমানচালকদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত। গত কয়েকদিন ধরেই সংস্থার নতুন বেতন-কাঠামো নিয়ে বিতর্কের জেরে একাধিক বিমান বাতিল হয়ে যায় ভিস্তারার। সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে ভিস্তারার মুখপাত্র জানান, পরিষেবা কমিয়ে দেওয়ার ফলে গত ফেব্রুয়ারিতে দৈনিক যে সংখ্যক বিমান চালানো হত, সেই স্তরেই ফিরে গিয়েছে টাটা গ্রুপের মালিকাধীন এই সংস্থা। ভিস্তারার তরফে জানানো হয়েছে যে আপাতত মূলত ঘরোয়া বিমানের সংখ্যা কমানো হয়েছে। যে যে বিমানের কোপ নেমে এসেছে, সেগুলির যাত্রীদের জন্য ইতিমধ্যে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভিস্তারায় এখন বিমানচালকের সংখ্যা প্রায় ১০০০। তাঁদের ৯৮ শতাংশের বেশি চুক্তিতে সই করেছেন বলে দাবি করেছেন সিইও। তাঁর আরও দাবি, বাকি বিমানচালকদের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছেন। আরও কর্মী নিয়োগ করা হবে।
গত সপ্তাহেই বিমান বাতিলের কারণে চরম সমস্য়ায় পড়েন যাত্রীরা। কেউ কেউ অভিযোগও তোলেন, যথাযথ খবর পর্যন্ত তাঁরা পাননি। বিমানবন্দরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তাঁদের অভিযোগ, যাত্রীসুরক্ষার বিষয়টি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বই দেয়নি।
ভিস্তারার মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বিমান বাতিলের নেপথ্যে বিমান কর্মীর অভাব-সহ একাধিক কারণ রয়েছে বলেও জানান তিনি৷ এই বাতিল নিয়ে ভিস্তারা'র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, "আমরা সাময়িক বিমানের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ আমাদের নেটওয়ার্কে যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত ৷"
যাত্রীদের এই সমস্যার জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। এই সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে বেশি সংখ্যক যাত্রী'র একত্রে পরিবহণের জন্য বড় বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি বিকল্প বিমানেরও ব্যবস্থা করা। যে বিমানগুলি বাতিল হয়েছে তার ভাড়া যাত্রীদের ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থার তরফে।