চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা অপরূপ এক শহর জার্মানির ড্রেসড্রেন। ঠিক যেন পিকচার পোস্টকার্ড। এই শহরেই পরম আন্তরিকতা আর ভালোবাসার মিশেলে মাতৃবন্দনার আয়োজন করেছেন প্রবাসী বাঙালিরা। সুদূর জার্মানির বুকে যেন এক টুকরো কলকাতাকে বড় যত্নে গড়ে তুলেছেন প্রবাসীরা।
ভিটেমাটি থেকে এত দূরে থেকেও যেন আশ্বিনের হাওয়া স্পর্শ করছে সকলের প্রাণ। আন্তরিকতা, নিষ্ঠা, ভালোবাসা- কোনও কিছুরই কমতি নেই এই পুজোয়। মন জুড়িয়ে দেওয়ার মতো আয়োজন। জার্মানির এই পুজোর মূল উদ্যোক্তা দুই বাংলার বাঙালিরা। কিন্তু শুধু তারাই নন, প্রাণের উৎসবে মিশে যান আরও অনেক মানুষ। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের মানুষজন তো বটেই, স্থানীয় জার্মানদের পাশাপাশি এশিয়ান অরিজিনের বহু মানুষ, বহু ব্রিটিশও অংশ নেন এই পুজোয়।
ড্রেসডেনের পুজোয় এই বছরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কুমোরটুলির শিল্পী প্রশান্ত পালের তৈরি প্রতিমা। সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিয়ে মা গিয়েছেন বেঠোফেনের দেশে। প্রায় শ'পাঁচেক মানুষের জন্য পুজোর দিনগুলিতে পাত পেড়ে খিচুড়ি, তরকারির আয়োজন হয়েছে। সঙ্গে ফুচকা, ঝালমুড়ি, ঘুগনি, রসমালাই- কী নেই! সবমিলিয়ে দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থাকা মানুষগুলি তাঁদের আন্তরিকতা আর আবেগ দিয়ে বুনে ফেলেছেন একটা আস্ত কলকাতা।