আজ বিজয়াদশমী। ১৪৩০ বঙ্গাব্দের দুর্গাপুজোর উৎসব এই বছরের মতো শেষ হল। পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের সঙ্গে ৯ দিন ৯ রাত যুদ্ধের পর জয়লাভ করেছিলেন দুর্গা। সেই জয়ের কারণেই 'বিজয়া দশমী' নাম। পুরাণে, বিজয়াদশমী উদযাপনের রীতিতে একটি নদী বা মহাসাগরের সম্মুখভাগে শোভাযাত্রার কথাও রয়েছে। পুজোর সঙ্গে জড়িত সঙ্গীত ও মন্ত্র সহ দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের মাটির মূর্তির শোভাযাত্রার শেষে মূর্তিগুলি জলে বিসর্জন দেওয়ার কথা বর্ণিত আছে পুরাণেও। যদিও বাঙালিদের মধ্যে যে বিজয়া দশমীর প্রচলন রয়েছে, তার পুরাণ-বর্ণিত কারণটি, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে অতি জনপ্রিয় এবং একইদিনে হওয়া 'দশেরা'-র থেকে ভিন্ন।
বাল্মীকি রচিত রামারণে কথিত, আশ্বিন মাসে শুক্লা পক্ষের দশমী তিথিতেই রাবণকে বধ করেছিলেন রামচন্দ্র।
ইতিহাস ও পুরাণের কাহিনি থেকে যায় তার নিজের মতো করে। জলে ভেসে যায় দুর্গা ও তার পরিবার। থেকে যায় ঐক্য ও সম্প্রীতির চিরাচরিত বার্তা। সেই বার্তা আমাদের কানে কানে বলে যায়, আলিঙ্গনে বেঁধে বেঁধে বেঁচে থাকুক মানুষ।