আজ বিজয়া-দশমী। কলকাতার পাশাপাশি জেলার ঐতিহ্যশালী পুজোগুলির বিকেল থেকে নিরঞ্জন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুরের রাজবাড়ির ৫১৪ বছরের পুজোর নিরঞ্জনে জেলার দূরদূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। চলে প্রতিমা বরণ, সিঁদুর খেলা।
রাজপরিবারের রীতি মেনে নিরঞ্জনে প্রতি বছর শূন্যে গুলি চালানো হয়। এদিন সেই রীতি এই দিন অনিবার্য কারণে পালন করা হয়নি। কিন্তু দেবীকে বিদায়বেলায় পাত পেড়ে খাওয়ানোরও রীতি আছে বিজয়া দশমীর দিন। দেবীর ভোগে ছিল, পান্তা ভাত, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, শেফলা, ইলিশ, পুটি মাছ সহ পাঁচ রকমের ভাজা, মিষ্টি, দই। রথে করে মাকে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় এই রাজবাড়ির নিজস্ব পুকুরে। সেখানেই হয় নিরঞ্জন।
এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ি চত্বর উৎসবে মেতে ওঠে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিসর্জন দেখতে ভিড় জমান অনেকে। ঢাকের তালে নাচ, সিঁদুর খেলা ,বরণ করা হয় প্রতিমাকে।