দেবীর বিসর্জন। রীতি মেনে বাপেরবাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির দিকে রওনা দিচ্ছে সে। তাই মিষ্টিমুখের প্রথা।
দশমীর পর বিষাদের আবহেই সমানতালে চলে মিষ্টিমুখের আয়োজন।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় অবধি ছানার মিষ্টি ছিল এই আড়ম্বরের একটা বড় অংশ জুড়ে। যা মূলত বনেদি বাঙালি বাড়ির স্পেশাল। দুর্গাকে বিদায় বরণ করা হত ছানার সন্দেশ দিয়ে। মনে করা হত পিত্রালয়ে উমার মুখে ছানার সন্দেশ দেখেই নাকি নীলকণ্ঠ পাখি কৈলাসে উড়ে যায় পতিগৃহে ফেরার সন্দেশ নিয়ে।
ঢাকের বাদ্যিতে বিজয়ার বিদায় ছন্দ বাজলেই ময়রাদের হেঁসেলে পাক হতো ছানার সন্দেশ, রসবড়া, মালপোয়া, মিহিদানা ইত্যাদি।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টায় রীতি রেওয়াজ। ঠিক আবার একালে নতুন প্রজন্ম ফিউশনে বিশ্বাসী। বেকড রসগোল্লার মতো নানা মিষ্টি এখন রাখতে হয় ক্রেতা টানার জন্য।
সে যুগ গিয়াছে। গিয়াছে সে মিষ্টিও!