কার্যত পরিষ্কার লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ এর ফলাফল। ইভিএম খুলতেই মিথ্যে হয়ে গেল সব। উল্টে গিয়েছে বড় বড় সব সমীকরণ। রাজ্যে ফের সবুজ ঝড়ে, কার্যত ধরাশায়ী বিজেপি। এবারের নির্বাচনে বেশ কিছু কেন্দ্রের ফলাফলে কার্যত চমকে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতি।
রাজ্যের প্রায় ৭ জন বিদায়ী সাংসদকে, বিদায় নিতে হল সংসদের লড়াই থেকে।
কোচবিহার কেন্দ্রে জয় নিয়ে কার্যত আশাবাদী ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামানিক। ২০১৯ সালে তৃণমূলের এই সিটে পদ্ম ফুটিয়েছিলেন নিশীথ। কিন্তু ২৪-এ জগদীশচন্দ্র বসুনিয়াকে পাঠিয়ে নিজেদের হিসেবে বুঝে নিল তৃণমূল। কোচবিহারে প্রায় ৩৯,২৫০ ভোটে হারের পথে কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
অন্যদিকে, মেদিনীপুরের বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষকে এবার বিজেপি লড়তে পাঠিয়েছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে। দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে তৃণমূলকে জিতিয়ে আনলেন কীর্তি আজাদ। ১,৩৭,৯৮১ ভোটে পরাস্ত দিলীপ ঘোষ।
এবার রাজ্য রাজনীতিকে কার্যত চমকে দিয়েছে , ভেঙেচুরে গিয়েছে অধীরগড় বহরমপুরে অধীর চৌধুরীর হার। আড়াই দশকের রাজত্ব শেষ করলেন ‘বহিরাগত’ ইউসুফ পাঠানই।
হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়-কে বিদায় নিতে হল রাজনীতিতে নবাগত অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে হেরে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ৭১,৬২৬ ভোট হারতে হয়েছে বিজেপির লকেটকে।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ২০১৯ সালের নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তীর কাছে প্রায় ৩২,৭৭৮ ভোটে পিছিয়ে সুভাষ সরকার। এছাড়াও, সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, পর পর দুবার দুটি আসন থেকে বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন। প্রথমে দার্জিলিং পরে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। আসানসোল কেন্দ্রে শত্রুঘ্ন সিনহার কাছে পরাজয় সুরিন্দরের।