লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় একটি আসনও জিততে পারেনি সিপিএম৷ শুধু তাই নয়, অধিকাংশ আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে বামপ্রার্থীদের। গোটা রাজ্যে মাত্র দুজন সিপিএম প্রার্থী জামানত রক্ষা করতে পেরেছেন। দুজনেই প্রবীণ। একজন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী তথা দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। অন্যজন দমদমের প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, জামানত বাঁচাতে গেলে যে কেন্দ্রে যত ভোট পড়ছে, তার এক-ষষ্ঠাংশ ভোট পেতে হয়। লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ২৩টি আসনে আসনে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম৷ কিন্তু সেলিম এবং সুজন বাদে আর কেউ এক-ষষ্ঠাংশ ভোট পাননি।
লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে গেলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা ডিপোজিট মানি হিসাবে গচ্ছিত রাখতে হয়। কোনও প্রার্থী এক-ষষ্ঠাংশ ভোট না পেলে ওই টাকা কমিশনেই থেকে যায়। সেই হিসাবে ২১ জন প্রার্থী জামানত জব্দ হওয়ায় মোট ৫ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা খুইয়ে বসল সিপিএম।
মুর্শিদাবাদ আসনে সেলিম পেয়েছেন ৩৩.৬২ শতাংশ ভোট। তিনিই একমাত্র বামপ্রার্থী, যিনি দ্বিতীয় হয়েছেন৷ দমদমে তৃতীয় হওয়া সুজন পেয়েছেন ১৯.১১ শতাংশ ভোট। বসিরহাট এবং মথুরাপুর আসনে সিপিএমের প্রার্থীরা চতুর্থ হয়েছেন। ওই দুই আসনে তৃতীয় হয়েছে আইএসএফ।
হাজার তিনেক ভোটের জন্য জামানত খুইয়েছেন যাদবপুরের বামপ্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য, হাজার সাতেক ভোটের জন্য জামানত জব্দ হয়েছে শ্রীরামপুরের বামপ্রার্থী দীপ্সিতা ধরের।