৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০ ! এই নম্বর হয়তো আগামী পাঁচ বছর মনে থাকবে বাংলার মানুষের কাছে। কারণ, এই লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষকে এই মার্জিনে জিতে সাংসদ হিসাবে হ্যাটট্রিক করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিসংখ্যানবিদদের দাবি, এতদিন এই রাজ্যে রেকর্ড ভোটে জয়ের নজির ছিল আরামবাগের সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ অনিল বসুর ঝুলিতে। সেই রেকর্ড এবার ভাঙলেন অভিষেক। ভোটের ফল প্রকাশের পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এই তো গেল বাংলায় অভিষেকের রেকর্ড জয়ের কথা। দেশের ময়দানে এই ভোটে কারা রেকর্ড করলেন ? নির্বাচন কমিশনের সূত্র বলছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটে জয়ের নিরিখে রেকর্ড করছেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বিজেপি নেতা শঙ্কর লালওয়ানি। ওই কেন্দ্র থেকে তাঁর জয়ের মার্জিন ১১ লক্ষ ৭২ হাজার। কমিশনের দাবি, এটাই এই বছরের সবচেয়ে বড় জয়।
এই বছর জয়ের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে আছেন অসমের ধুবগুড়ি কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রবিকুল হোসেন। এই কেন্দ্র থেকে তাঁর জয়ের মার্জিন ১০ লক্ষ ১২ হাজার। এই বছরই তাঁকে লোকসভার ময়দানে দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। প্রথমবার লোকসভার ময়দানে লড়াই করতে নেমে সবাইকে চমকে দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। বিদিশা কেন্দ্র থেকে তিনি জিতলেন ৮ লক্ষ ২১ হাজার ভোটে।
মধ্যরাত পর্যন্ত লড়াই করে বাংলায় জিতেছেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে নিজের ঘরের মাঠে জিততে কালঘাম ফেলতে হয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে। কিন্তু গুজরাতের রাজ্য বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিল জিতেছেন কার্যত হেলায়। রাজ্যের নাভাসারি কেন্দ্র থেকে তাঁর জয়ের মার্জিন ৭ লক্ষ ৭৩ হাজার। এই নিয়ে চতুর্থবার এই কেন্দ্র থেকে জিতলেন তিনি।
এই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির অন্যতম হেভিওয়েট মুখ অমিত শাহও। একসময় গুজরাতের গান্ধীনগর ছিল লালকৃষ্ণ আডবানির কেন্দ্র। সেই গান্ধীনগর থেকে দ্বিতীয়বার সংসদে গেলেন শাহ। এবার তাঁর জয়ের মার্জিন ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার।
কমিশনের তালিকায় রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার গণনার ফলে অভিষেক জিতেছে ৭ লক্ষের বেশি ভোটে। এবারের মতো শেষ হল লোকসভার ভোট। এবার সরকার তৈরির পালা। এক দশক পর ফের দিল্লির মসনদের দিকে তাকিয়ে সবাই। কারণ ভারতীয় গণতন্ত্রে ফের ফিরছে জোট সরকার।