১৯৯৯ সাল। এই বহরমপুরে আরএসপির প্রার্থী প্রমথেশ মুখোপাধ্যায়কে হারিয়ে জয়ী হন অধীর চৌধুরী। এরপর টানা আড়াই দশক জুড়ে তৈরি হয়েছে অধীরগড়। চব্বিশে এসে 'অধীর গড়' বহরমপুর দখল তৃণমূলের। যা বাংলার শাসকদলের কাছে কার্যত নজিরবিহীন সাফল্য। নিজের গড়ে 'বহিরাগত' ইউসুউ পাঠানের বিরুদ্ধে হার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। হারের পর অধীরের দাবি, হার নিয়েই খুশি থাকতে চান তিনি। পাশের কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ থেকে হার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের। অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, "সেলিম জিতবেন"। কিন্তু একই জেলা থেকে হারতে হল বাম-কংগ্রেসের জোটের দুই শীর্ষ নেতাকেই।
গত ৫টি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য রাজনীতিতে অনেক পট পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সেই পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগেনি বহরমপুর কেন্দ্রে। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ছটি বিধানসভা ২০২১ সালে জিতে নিয়েছে তৃণমূল। আর একটি বিধানসভা কেন্দ্র বিজেপির। তবুও এবার নির্বাচনের আগে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন অধীর। সেই আত্মবিশ্বাসের বোধ হয় খেসারতই দিতে হল অধীরকে। INDIA জোটের সমঝোতা ছিল, কংগ্রেস কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করবে না। কিন্তু বারবার তৃণমূল নেত্রীকে আক্রমণ করে হাই কম্যান্ডের বিরোধিতা করেছেন অধীর। তবুও নিজের স্ট্র্যাটেজি থেকে সরেননি। একদা তাঁরই শিষ্যদের কাছেই লোকসভার নির্বাচনে হারের মুখ দেখতে হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে।