২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিতে যোগ দিয়েই মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'আমি বেলেবোড়াও নই, জলঢোঁড়াও নই। আমি জাত গোখরো। ' তিন বছর পর মিঠুনের সেই ভাইরাল ডায়লগের প্রসঙ্গ তুলে মঙ্গলবার মেদিনীপুরে মিঠুনকে ঘিরে প্রতীকী প্রতিবাদ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের । এদিন, মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রার সমর্থনে রোড শো ছিল মিঠুনের । সেখানেই মিছিলকে লক্ষ্য করে জুতো, ইট, বোতল বৃষ্টির অভিযোগ । বিক্ষোভ চলাকালীনই দেখা গেল, বিক্ষোভকারীদের হাতে রয়েছে 'কার্বলিক অ্যাসিড' লেখা বোতল । কারও হাতে আবার জাত গোখরো লেখা প্ল্যাকার্ড, আবার কারও হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল 'চন্দ্রবড়া' । মূলত মিঠুনকে খোঁচা দিতেই এই পোস্টার । মঙ্গলবার সকালে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা ।
সাধারণত গ্রামবাংলায় সাপ তাড়ানোর অব্যর্থ ওষুধ হিসাবে কার্বলিক অ্যাসিড ব্যবহার হয় । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, 'জাত গোখরো' মিঠুনকে হঠানোর জন্য একই পন্থা অবলম্বন করে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখানো হয়েছে । সেইসঙ্গে প্ল্যাকার্ডে বন্যপ্রাণ বাঁচানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে । সবটাই মিঠুনকে কটাক্ষ করে প্রতিবাদ ।
অগ্নিমিত্রা পালের সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল সকাল মেদিনীপুরে পৌঁছন মিঠুন চক্রবর্তী । তাঁকে ফুল, মালায় স্বাগত জানান বিজেপি প্রার্থী । এদিন, মেদিনীপুরে জোড়া কর্মসূচি ছিল মিঠুনের । মেদিনীপুর শহরে রোড শো,তারপর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় অগ্নিমিত্রার সমর্থনে সভা করেন মিঠুন । কিন্তু প্রথমেই রোড শোতে বিপত্তি বাঁধে । হঠাৎই মিছিলের মাঝে ইট ও জলের বোতল ছোড়া শুরু হয় বলে বলে অভিযোগ । তারপরই বচসা, হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি । পুলিশের সামনেই উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ । গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস ।