নির্বাচনে হেরে গিয়ে দলের বিরুদ্ধেই মুখ খুললেন BJP-নেতা দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেছিলেন তিনি। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে হারতে হয় তাঁকে। আর তারপর বুধবার সকালে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন দিলীপ।
কী বললেন তিনি?
BJP-র রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁকে নির্বাচনে লড়তে পাঠানো হয় বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে। যদিও গতবার মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে লড়াই করে জয় পেয়েছিলেন তিনি। এপ্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "সব সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে। বাংলার মানুষ বলবেন এই গুলো ঠিক হয়েছে না ভুল হয়েছে। আমাকে দল যখন যা বলেছে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে করেছি। পুরো ইমানদারি দিয়ে করেছি। ফাঁকি রাখিনি। এবার বর্ধমানে কঠিন সিট ছিল। যারা সেখানে সেদিন ছিলেন তারাও মেনেছেন একটা জায়গায় ভালো লড়াই হয়েছে। দলের পলিসির উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যারা আমাকে ওখানে পাঠিয়েছেন তারা ভাববেন।"
Read More- মোদী মুখে নেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি, ৩৪ মিনিটের ভাষণে জোড় দিলেন NDA-তে
সন্দেশখালি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের আন্দোলন ছিল। যদিও তিনি স্বীকার করেন পরবর্তীতে BJP ওই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। তবে বসিরহাট লোকসভায় যেমন ফলের আশা করেছিলেন তেমন হয়নি বলেও জানান তিনি।
বুধবার প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে নিজের বক্তব্যে কর্মীদের মনোবল প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ফল প্রকাশের পর থেকেই অনেক BJP কর্মী ঘরছাড়া। তিনি বলেন, "কাল থেকে অনেকে ঘরছাড়া। কারণ তারা আগের অভিজ্ঞতা থেকে ভয় পাচ্ছে। আমাকে দেখে অনেকে বেরিয়েছিল। যদি আবার সেরকম পরিস্থিতি হয় তাহলে আগামী দিনে পার্টি আরও ৫ বছর পিছিয়ে যাবে। পার্টির এবার ভাবা উচিৎ। যে কর্মীরা পার্টির জন্য বেরোয় তারা যেন তাদের সংকটে পার্টিকে পাশে পায়। এটাও পার্টিকে দেখতে হবে।"
এদিকে দিলীপ ঘোষের হেরে যাওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার জানান, দলের অন্দরে পুরো বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।