আজ, ১২ জানুয়ারি দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে স্বামী বিবেকানন্দের ১৬২ তম জন্মবার্ষিকী । রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভক্তদের ভিড় । সকাল থেকেই চলছে নানা অনুষ্ঠান । আবার গোটা দেশে বিবেকানন্দের জন্মদিনটি জাতীয় যুব দিবস (National Youth Day) হিসেবে পালিত হয় । কবে থেকে, কেন বিবেকানন্দ জয়ন্তীতে পালিত হচ্ছে যুব দিবস, জেনে নিন
জাতীয় যুব দিবস
১৯৮৪ সালে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনটিকে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে ঘোষণা করে তত্কালীন কেন্দ্রীয় সরকার । সরকারের তরফে বলা হয়েছিল,স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন, আদর্শ এবং কাজের পদ্ধতি ভারতীয় যুবকদের জন্য অনুপ্রেরণার একটি বড় উৎস হতে পারে ।
যুব সমাজের আদর্শ তিনি । স্বামীজির অনুপ্রেরণাই তরুণদের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র । ধর্ম, দর্শন, সাহিত্য থেকে ইতিহাস, সমাজ, বিজ্ঞান...সবেতেই তাঁর জ্ঞান অসীম । ভয় না পেয়ে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে যুব সমাজকে তিনিই উৎসাহিত করেছেন । তাঁর জীবন ও চিন্তাধারা যুবসমাজের পাথেয় । শরীর গঠনের জন্য খেলাধূলার প্রতি জোর দিতেন স্বামীজি । তিনি বলেছিলেন, গীতাপাঠ অপেক্ষা ফুটবল খেলা ভাল । কারণ শরীরকে মজবুত হলেই সব বাধা বিপত্তি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব । যুবসমাজের জন্য তাঁর এই বাণী অমূল্য ।
ভোজনরসিক বিবেকানন্দ
জানেন কী, স্বামী বিবেকানন্দ কতটা ভোজন রসিক ছিলেন ? জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই খেতে ভালবাসতেন নরেন। নরেনের বাবা বিশ্বনাথ দত্ত প্রায়ই বাবুর্চি ডেকে বাড়িতে নানা মোগলাই রান্না করাতেন। অল্প বয়সেই নরেন ফ্রেঞ্চ রান্নার বই সংগ্রহ করে গড়ে তুলেছিলেন গ্রিডি ক্লাব সংগঠন। সেখানে রান্না হত, রান্না নিয়ে গবেষণা চলত দিনরাত । হাসের ডিমের সঙ্গে চাল মাখো মাখো করে আলু মটর দিয়ে ভুনি খিচুড়ি । এছাড়া, ফলের মধ্যে খুব তৃপ্তি করে খেতেন আম আঙ্গুর। ফরাসি, জার্মান, আমেরিকান, ইংরেজ, কোন জাতি কেমন খাওয়া দাওয়া করে, তা নিয়েও বিস্তর পড়াশোনা ছিল বিবেকানন্দের